মডেলিং করতে না দেওয়ায় স্বামী অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ডিভোর্স দিতে চান স্ত্রী মারিয়া মিম। গণমাধ্যমকে দেওয়া এই বক্তব্যের একদিন পরেই কালের কণ্ঠকে বললেন ভিন্ন কথা। বুধবার দুপুরে সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী মারিয়া মিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সিদ্দিক আমাকে মারধর করতো। মারধর করার পর আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে যেত যেন আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে না পারি। আমি কান্না করতাম কিন্তু আশেপাশের বাড়িগুলোর জানালা খুলতো না, এগিয়ে আসতো না কেউ।’

মিম অভিযোগ এনে বলেন, ‘একাধিক মেয়ের সঙ্গে ওর সম্পর্ক রয়েছে। আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। সে সারারাত বাইরে থাকে। নাটকের শুটিং কয়টা পর্যন্ত থাকে? ৮ টা ১০ টা ১২ টা?  সে এতো রাতে বাইরে থাকে কেন? মধ্যরাতে, ভোরে এসে বাচ্চার ঘুম ভাঙায়। সে আমাকে মোটেও সময় দেয় না। বাইরে ঘুরতে নিয়ে যায় না। এতোই যখন ব্যস্ত, তাহলে তার স্ত্রীর দরকার কী?’ 

কিন্তু আপনি গণমাধ্যমে বললেন আপনাকে মিডিয়ায় কাজ করতে না দেওয়ায় ডিভোর্স দিতে চান। প্রথমে এসব অভিযোগ তুললেন না কেন? প্রশ্নের জবাবে মারিয়া মিম বলেন, ‘আসলে আমি মুখ খুলতে চাইনি। এসব কথা বলতে চাইনি। এখন আমাকে বলতে হচ্ছে। কারণ আমি ওর স্তাহে থাকতে চাই না। ওই বাসায় যেতে চাই না। সে আমাকে ওর বাসা থেকে যখন তখন বেরিয়ে যেতে বলে।’  

কবে থেকে সিদ্দিকের সাথে অন্য মেয়েদের সম্পর্ক টের পান? এ প্রসঙ্গে মারিয়া মিম বলেন, ‘বিয়ের এক বছরে আমাদের সম্পর্ক ভালোভাবে চলছিল। কিন্তু সন্তান হবার পঅর থেকেই ও পরিবর্তন হয়ে যায়। নানা রকম কথা শুনতে পাই আমি।’  এসব জেনে বুঝেও একসাথে ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মিম বলেন, ‘আমি মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেছিলাম, সংশোধন করার চেষ্টা করেছিলাম।’  

সিদ্দিক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এর আগে সে এমন কোনো অভিযোগ করেনি। এর আগের অভিযোগ মডেলিং করতে না দেওয়ায় সে আমাকে ডিভোর্স দিতে চাইছে। আমার চরিত্র নিয়ে সে টানেনি। এখন এসব আসছে কোথা থেকে। সবাই জানে আমি কেমন। হুট করে তার মাথায় বিয়ের ৮ বছর পর মডেলিং করার ভুত চাপলো কেন, এটা নিয়ে পরে কথা বলবো যদি সে আসলেই অভিযোগ করে। আমি লোক হাসানোর মানুষ, সারাজীবন মানুষের মুখে হাসিই ফুটিয়ে যেতে চাই।’

অবশ্য চলতি বছরেও সিদ্দিকুর রহমানের সাথে স্ত্রী মারিয়া নূরের একত্রে অনেকগুলো হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।   

মিম বলছেন, ‘বিয়ের আগে আমাকে সে মিডিয়ায় কাজ করতে দিতে চেয়েছিল। এখন সে নানা ঝামেলা করছে। বিভিন্ন ডিরেক্টরকে ফোন দিয়ে আমাকে যাতে না নেওয়া হয় বলে দিচ্ছে। আমাকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছে।’ বিয়ের এতোদিন পরে কেন মডেলিং নিয়ে আগ্রহী হলেন? প্রশ্নের উত্তরে মিম বলেন, ‘বিয়ের পরপরই আমি কনসিভ করি, যার কারণে আমি তখন আর আগ্রহী হইনি। এখন সিদ্দিক আমাকে সময় দেয় না। আমি কি বাসায় সারাদিন বসে থাকবো?’ 

কোনোভাবেই আর সিদ্দিকের সাথে থাকতে চাননা উল্লেখ করে মিম বলেন, ‘আমি আর ওর সাথে থাকতে চাই না। কোনোভাবেই থাকতে চাই না। মতের মিল হচ্ছিল না। নানা কারণে আমি দূরে ছিলাম। আর সে আমাকেও চায় না, চায় বাচ্চার মা’কে। তাহলে আমি কেন যাবো? আমি আপাতত ডিভোর্সের পরিকল্পনা করছি। এরপরে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করবো।’

২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তারা পুত্রসন্তানের বাবা-মা হন।

‘তুমি চলে এসো, আমাদের শিশুকে দেখো, সংসারটা বাঁচাও,’ স্ত্রীর উদ্দেশ্যে সিদ্দিক