ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে চালু হবে। ওই বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়ে যাবে। আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে ফাইভজির সক্ষমতাও অর্জন করা হবে। আজ বুধবার রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে ফাইভজি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, টুজি, থ্রিজি, ফোরজির মান কতটা উন্নত করতে পারবো, তার চেয়ে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি বা ফাইভজির মহাসড়ক যথাসময়ে নির্মাণ করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফাইভজির সঙ্গে পরিচয় হয়। এরিমধ্যে ফাইভজির সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে লিঙ্ক করা হয়েছে। এ দু’টো বিষয় নিয়ে উন্নত দেশগুলো একটি বিশাল রকমের পরিবর্তন প্রত্যাশা করছে।
মন্ত্রী বলেন, ফাইভজি অনেকের কাছে মনে হয়েছে ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’। বিশেষজ্ঞ-বিজ্ঞানীরাও বলেছেন ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’। ১৯৯৭ সালে যখন আমরা স্যাটেলাইটের কথা বলছিলাম, তখনও বলা হয়েছে ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’। আজ ফাইভজি কি আমাদের জন্য ঘোড়া রোগ নাকি অনিবার্য? বস্তুতপক্ষে ফাইভজি কেবল কথা বলার প্রযুক্তি না, ইন্টারনেটে ব্রাউজ করার প্রযুক্তি না, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ছোট্ট ঢেউ না। আমরা জানি না, ফাইভজি প্রবর্তনের ফলে আমাদের দেশের জনগণ, শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কতভাবে কোন স্তরে ব্যবহার করবে।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল আলম ফাইভজির রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২১-২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভজি চালু করার জন্য সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ২০২১ সালের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে, ২০২২ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ জেলা শহর, ২০২৩ সালের মধ্যে সব জেলা শহর এবং ২০২৬ সালের মধ্যে সব উপজেলা, হাইওয়ে, রেলওয়েতে ফাইভজি চালু করা হবে।
সেমিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হাসান, গ্রামীণফোনের এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের জেনারেল ম্যানেজার রেদওয়ান হাসান খান, এরিকসন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার জেরি ওয়াং সু বক্তব্য রাখেন।