মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ছোট জাতের এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে লাগছে ৭৫ টাকা। আর এই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করেছিলেন ৪৮ টাকা দরে। অর্থাৎ এক কেজি ওই পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারলেই লাভ হচ্ছে ২৭ টাকা। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে দুইটি আড়তকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে পেঁয়াজের বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম।
অভিযানে জরিমানা করা আড়তগুলো হলো- নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে চাল ডাল ট্রেডার্স ও মেসার্স মেহরাজ স্টোরস। প্রতিষ্ঠানগুলোর কেনার রশিদ পর্যালোচনা করে চাল ডাল ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা ও মেহরাজ স্টোরসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করেছিলেন ৪৮ টাকা দরে। কিন্তু তারা বিক্রি করছেন ৭৫ টাকা দরে। অর্থাৎ আমদানিকারকদের দেওয়া রশিদ থেকে কেজিতে ২৭ টাকা বেশি নিচ্ছিল। আর ৬৫ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৯০ টাকায়। নগদে লাভ করতেছে ২৫ টাকা। আমদানিকারকদের কাছ থেকে তারা যে দামে পেঁয়াজ কিনেছেন, বিক্রির সময় গাড়িভাড়াসহ যোগ করলে কেজিতে সর্বোচ্চ ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। কিন্তু ২৫ থেকে ২৭ টাকা বাড়তি নেওয়া কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। অতিরিক্ত মুনাফা করায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযানের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন। উভয় বাজারে বিক্রেতাদের পেঁয়াজের মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশনাও দেন তানভীর ফরহাদ শামীম।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে অতিরিক্ত মুনাফা নিয়ে তাদের সতর্ক করেছিলেন। ওই দিন বিকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছিলেন।