দক্ষিণ কোরিয়ার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ব্লুহোলের তৈরি করা অনলাইন ভিডিও গেম প্লেয়ার আননোনস ব্যাটেল গ্রাউন্ডস (পাবজি) খুলে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার ফেসবুক ফেরিফায়েড পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে খুলে দেয়ার বিষয়টি জানান।
এর আগে গেমটির সহিংস বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে—এমন আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশে গেমটি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। নিষিদ্ধের ফলে তরুণ-তরুণীদের কাছে জনপ্রিয় অনলাইন গেম পাবজি ইনস্টল করা যাচ্ছিল না।
আজ রাত ১০টা ৮ মিনিটে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মন্ত্রী জানান, পাবজি ব্যবহারকারী যারা এটি ব্লক করায় নাখোশ ছিলেন তারা জেনে খুশি হবেন যে এটি আর ব্লক করা নেই।
অনলাইনে একাধিক ব্যক্তি মিলে খেলতে হয় এ গেম। একটি নির্জন দ্বীপে অন্যদের হত্যা করে নিজেকে টিকে থাকতে হয় গেমটিতে। শেষ পর্যন্ত যে ব্যক্তি বা দল জীবিত থাকে, সে-ই বিজয়ী হয়। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এ গেম খেলার ফলে নেতিবাচকভাবে আসক্ত হচ্ছে, এমন সন্দেহে গত কয়েক মাস ধরে পাবজি বন্ধের আলোচনা চলছিল।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে গেমটি বাংলাদেশে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল বলে অনেক গেমার ফেসবুকে পোস্ট দেন।
মূলত বাংলাদেশে পাবজি বন্ধের আলোচনা শুরু হয় চলতি বছরের এপ্রিলে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বন্দুক দিয়ে মসজিদে মুসলমানদের হত্যা এবং সেই দৃশ্য ফেসবুক লাইভের বিষয়টি অনেকেই পাবজির সঙ্গে তুলনা করেন।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল নেপালে এ পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
২০১৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী গেমটি ১০ কোটিরও বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
অভিযোগ আছে, পাবজি গেম শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংস মনোভাব তৈরি করছে। একই সঙ্গে পড়াশোনা থেকে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ অভিভাবকদের। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকদের কাছ থেকে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়ার পর গেমটি বাংলাদেশ থেকে খেলা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর আগে অনলাইনে ‘প্রাণঘাতী গেম’খ্যাত ব্লু হোয়েল নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ।