জাতিসংঘের রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক পরিদর্শক ঘোষণা দিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়ায় তুরস্ক যে অভিযান শুরু করেছে তাতে দেশটির সামরিক বাহিনী শিশুদের ওপর হোয়াইট ফসফরাস ব্যবহার করছে এমন অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধ সংস্থা (ওপিসিডব্লিউ) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, তারা সিরিয়ায় তুর্কির রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে। দেশটিতে হামলায় তুর্কি সেনারা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এমন অভিযোগ আসার পর থেকে তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেছে।
কুর্দিস রেড ক্রিসেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক ও বেসামরিক ছয় জন রোগী এখন অজানা অস্ত্রের দ্বারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাক্কার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা এটা বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করছে দগ্ধ এসব মানুষের ওপর কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
দাতব্য সংস্থাটির ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, তারা এখনো নিশ্চিত নয় যে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে কি-না। তারা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অংশিদারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে মিলে এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষে তা জানা যাবে।
যুক্তরাজ্যের একজন রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ তার সাবেক এক সহকর্মীর কাছ থেকে মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়া সিরিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর ছবি পেয়েছেন। তিনি এই ছবি দেখার পর বলেছেন, তার ধারণা, শিশুটি রাসায়নিক অস্ত্র দ্বারা দগ্ধ হয়েছে।
ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর সাবেক রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ব্রেটন গর্ডন বলেন, ‘মূলত হোয়াইট ফসফরাস ব্যবহার করা হয়েছে। এটা খুব ভয়ঙ্কর একটা অস্ত্র। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এটা ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত এর ব্যবহার এখন অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে।’