পাথরঘাটায় ছাত্রলীগের মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশের লাঠিচার্জ।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হোসাইনকে স্বপদে বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিরার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা শহরে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

এদিকে এনামুলের সমর্থক নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচির জন্য একত্রিত হতে আসলে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা তাদের বিচ্ছ্ন্নিভাবে মারধর করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে এনামুলের প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে তাৎক্ষণিক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।

অন্যদিকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হোসাইনকে অনুপ্রবেশকারী উল্লেখ করে সাংগঠনিক নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে বহিষ্কার করে। এ অবস্থায় এনামুলকে স্বপদে বহালের দাবিতে শুক্রবার পাথরঘাটায় বিক্ষোভ মিছিল এবং শনিবার একই দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করলে এই উত্তেজনায় শুরু হয়।

এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জ বাধা উপেক্ষা করে এনামুল হোসাইনের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে শেষে দুপুর ১টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন এনামুল। এ সময় তিনি নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন। তিনি কোনো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেননি দাবি করে বলেন, ‘আমি একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রেরর শিকার। কিন্তু প্রতিপক্ষের ছাত্রলীগ নেতারা সেই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন পণ্ড করার জন্য আমার নেতাকর্মীদের শহরে প্রবেশ করতে দেয়নি এবং পথে পথে তাদের ওপর হামলাও করেছে। আমার সমর্থক নেতাকর্মীরদের মারধর করে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে। মারধরে আমার অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

তবে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘এনামুল ও তার নেতাকর্মীরা যেটা করছেন, তা সম্পূর্ণ সংগঠনবিরোধী। তিনি তার পদ ফেরত পাওয়ার জন্য কেন্দ্রে আপিল করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা না করে মিছিল মিটিং করে পাথরঘাটায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।’

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা হয়েছে।’