ভারতের মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি-শিবসনা জোট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই রাজ্যের ২৮৮টি আসনের মধ্যে ১৬৫টিতে এগিয়ে রয়েছে জোট। অন্যদিকে কংগ্রেস-এনসিপি জোট এগিয়ে ১০০ টি কেন্দ্রে। অন্যান্য দলগুলি ২৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে হরিয়ানায় জমে উঠেছে কংগ্রেস-বিজেপির লড়াই। এই রাজ্যে শেষ বেলায় কংগ্রেস যে এতটা লড়াই করবে তা অনেকেই বোঝেননি। রাজ্যের ৯০টি আসনের মধ্যে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিজেপি ৪০টিতে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এগিয়ে ২৯টিতে। মাত্র ১০ মাস আগে তৈরি হলেও জেজেপি ১০ আসনে এগিয়ে আছে। নির্দল-সহ অন্যান্যরা এগিয়ে ১১টি আসনে। শেষ পর্যন্ত কোনও দল সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে জেজেপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 
মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিবসেনা জোটই যে ফের ক্ষমতায় আসছে সেটা প্রায় সকলেই মেনে নিয়েছিলেন। হরিয়ানাতেও বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এদিন ইভিএম খুলতেই হরিয়ানার চিত্রটা দ্রুত বদলাতে থাকে। এবার ভোটের আগে হরিয়ানায় কংগ্রেস ছিল একেবারেই ছত্রভঙ্গ। দলের কোন্দল মেটাতে নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেও বদল করতে হয়। কিন্তু তারপরেও দলের ভাঙন ঠেকানো যায়নি। বেশ কয়েকজন নেতা দল ছাড়েন। অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। কিন্তু তারপরেও কংগ্রেস যে এভাবে বিজেপিকে লড়াইয়ের মুখে ফেলবে তা ভাবতে পারেনি রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে হরিয়ানায় এবার কোনও রকম ছাপ ফেলতেই পারেনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। মাত্র মাস চারেক পরেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে হরিয়ানার এই ফলাফল নিশ্চিতভাবেই আম আদমি পার্টিকে চাপে ফেলবে। হরিয়ানার কারনাল কেন্দ্রে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার।

মহারাষ্ট্রে মসৃণ গতিতেই এগিয়ে চলেছে বিজেপি-শিবেসনার জয়রথ। প্রত্যাশা মতোই এগিয়ে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রে ফড়নবীস, শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে। তবে রাজ্য মন্ত্রিসভার চার সদস্য পিছিয়ে রয়েছেন। মহারাষ্ট্রে এবার কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। বিজেপি ফড়নবীসকেই দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে রাখতে চায়। অন্যদিকে শিবসেনার তরফে অদিত্য ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীকে করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এতদিন ঠাকরে পরিবারের কোনও সদস্য নির্বাচনে লড়তেন না। কিন্তু এবার ছক ভেঙে আদিত্য নির্বাচনে লড়েছেন। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে দু’দলের পক্ষ থেকেই কোনও মন্তব্য করা হয়নি। 

জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগে ফলাফল ঘোষণা শেষ হোক। তার পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন সেটা ভেবে দেখা যাবে।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া