পুরো ম্যাচে দুই গোল হজম করেছেন টটেনহ্যাম হটস্পারের গোলরক্ষক পাওলো গাজ্জানিগা। তবু ম্যাচ শেষে তার রেটিং বলছে দশের মধ্যে ৯.২ পেয়েছেন তিনি। এতেই বোঝা যায় লিভারপুলের বিপক্ষে ঠিক কতোটা অতিমানবীয় ছিলেন এ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
মৌসুমের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিভারপুল নিজেদের ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের বিপক্ষেও খেলেছে দুর্দান্ত। কিন্তু গোলের জন্য রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাদের। ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে ২১টি শট নিয়েছে লিভারপুল, ১৩টি ছিলো লক্ষ্যে। এই ২১ আক্রমণের ১২টাই ঠেকিয়ে দিয়েছেন গাজ্জানিগা।
বারবার টটেনহ্যামের গোলরক্ষকের কাছে আটকা পড়া লিভারপুল শেষপর্যন্ত জয় ঠিকই পেয়েছে। তবে তাদের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পেনাল্টি। কেননা স্পার্সদের ভুলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেছে লিভারপুল। ম্যাচে তাদের জয়টি ২-১ গোলে।
অথচ ম্যাচ শুরুর ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় পুরো অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামকে নিস্তব্ধ করে ফেলেছিলেন টটেনহ্যামের তারকা ফরোয়ার্ড হ্যারি কেন। এই এক গোলের লিডেই প্রথমার্ধ কাটিয়ে দেয় টটেনহ্যাম হটস্পার। একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে সমতা ফেরান জর্ডান হেন্ডারসন। ম্যাচের ৫২ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। এরপর জয়সূচক গোলের খোঁজে মরিয়া হয়ে ওঠে অলরেডরা।
সেই সুযোগ তাদের করে দেয় টটেনহ্যামই। ডি-বক্সের মধ্যে সাদিও মানেকে ফাউল করা হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে দলকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট এনে দেন মিশরিয়ান ফরোয়ার্ড সালাহ।
এ জয়ের পর দশ ম্যাচে ৯ জয় ও ১ ড্রতে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষস্থানে রয়েছে লিভারপুল।