মালিকদের দ্বন্দ্ব না মেটায় ১৫ দিনেও পাবনা-শাহজাদপুর সড়কে বাস চলাচল শুরু হয়নি । ফলে এ পথ দিয়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী পাবনা জেলার হাজারো যাত্রী পরিবহন সংকটে পড়ছে।
প্রায় ১৫ দিন আগে পাবনা ও শাহজাদপুরের বাস মালিকদের দুটি বাস একই সময় চলাচলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের ঘটনায় এই পথে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাবনা থেকে ঘুরপথে স্বল্প পরিসরে ঢাকায় বাস চলাচল করলেও বন্ধ আছে আন্তজেলা বাস চলাচল। এতে বিপাকে পড়েছে পাবনা জেলার সূজানগর, সাঁথিয়া, ফরিদপুর আর বেড়া উপজেলার হাজার হাজার বাস যাত্রী। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পরেছে বাস শ্রমিকরাও।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনা ও শাহজাদপুরের মালিক ও শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে চলতি বছরেই তিনবার এ পথে বাস চলাচল বন্ধের ঘটনা ঘটেছে । তবে সর্বশেষ ঘটনায় দু’পক্ষই ঢাকার মাস মালিকদের কাছে বিচার চেয়েছেন।
বুধবার ঢাকায় দুপক্ষের বসার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা ও শাহজাদপুর বাস মালিক সংগঠনের একাধিক নেতা।
শাহজাদপুর বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি লিয়াকত হোসেন জানান, পাবনা থেকে শাহজাদপুর মালিকদের মাত্র ৩০-৩৫টি কোচ ঢাকায় চলাচল করে। অপর দিকে পাবনার মালিকদের ১০০টির অধিক কোচ ঢাকায় চলাচল করছে। পাশাপাশি পাবনার আরো শতাধিক লোকাল ও মেইল বাস শাহজাদপুরের ওপর দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চললেও শাহজাদপুরের বাস মালিকদের মাত্র ২০-২৫ টি লোকাল মেইল বাস পাবনার ওপর দিয়ে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে।
শাহজাদপুরের বাস মালিকদের অভিযোগ, পাবনার বাস মালিক ও শ্রমিকদের আচরণ না বদলানোর কারনে প্রায়ই পাবনা-শাহজাদপুর বাস চলাচল বন্ধ থাকছে।
এদিকে পাবনা বাস মালিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , তারা শাহজাদপুরের সাথে অনেক ছাড় দিয়ে চললেও সামান্য কারনেই শাহজাদপুরের মালিক-শ্রমিকরা পাবনার বাস শাহজাদপুরের ওপর দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, পাবনায় শাহজাদপুরের মালিকদের কাউন্টার রয়েছে। অথচ শাহজাদপুরে পাবনার বাস মালিকের কোনো কাউন্টার নেই। প্রতিদিন পাবনা থেকে শাহজাদপুরের একজন মালিকেরই ৩০টি কোচ ঢাকা, চট্রগ্রামে চলাচল করছে। এমনকি ছুতনাতায় শাহজাদপুরের বাস মালিকরা পাবনা বাস মালিকদের বাস শাহজাদপুরের ওপর দিয়ে চলাচলে মাঝে মধ্যেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শাহজাদপুর বাস মালিকরা জানান, পাবনার বাস মালিকদের কাউন্টার শাহজাদপুরের কেউ বন্ধ করেনি। তারা নিজেরাই তাদের কাউন্টার বন্ধ করেছেন।