হঠাৎ এক ঝড় যেন এলোমেলো করে দিলো সাকিব আল হাসানের জীবন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তিনি, বিশ্বজুড়ে কত নাম যশ খ্যাতি। আইসিসির এক নিষেধাজ্ঞায় তার সবই যেন হারাতে বসেছেন।
ফিক্সিংয়ের তথ্য গোপন করার দায়ে মঙ্গলবার সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। এর মধ্যে এক বছরের সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আবারও কোনো অপরাধ করলে শাস্তি বাড়বে।
এমন নিষেধাজ্ঞার পর মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাকিব। এমসিসি এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০১৭ সালে ইতিহাসের প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সদস্য হন সাকিব। সম্মানিত এই পদটিতে শুধু ক্রিকেট বিশ্বের আইকনিক ব্যক্তিরাই সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান।
সাকিবের পদত্যাগের খবর জানিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এমসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব নিশ্চিত করছে, এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সাথে সাকিব সংশ্লিষ্টতা ছিন্ন করে পদত্যাগ করেছেন।’
ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান ও ইংলিশ কিংবদন্তি মাইক গেটিং বলেন, ‘সাকিবকে কমিটি থেকে হারিয়ে আমরা ব্যথিত। গত কয়েক বছরে সে এখানে অনেক অবদান রেখেছে। ক্রিকেটীয় চেতনার অভিভাবক হিসেবে আমরা তার পদত্যাগকে সমর্থন করি এবং বিশ্বাস করি- সে সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিয়েছে।’
এমসিসি কমিটি ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর প্রস্তাবনা দিয়ে থাকে। তাদের প্রস্তাবতাতেই ক্রিকেটে নানা পরিবর্তন আসে। প্রতি বছর দুবার এই কমিটির সভা হয়। ২০২০ সালের মার্চে শ্রীলংকায় পরবর্তী সভা হওয়ার কথা। সাকিব সে সময়টাতেও নিষিদ্ধই থাকবেন।