ইউরোপিয়ান ফুটবল
দিন কয়েক আগে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ‘ফোর ফোর টু’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথাটি বলেছিলেন লিওনেল মেসি, ‘আমার দেখা সেরা স্ট্রাইকার রোনালদো’। না, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কথা বলেননি, বলেছেন ব্রাজিলিয়ান ‘এল ফেনোমেনন’-এর কথা। সেই রোনালদো এখন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল ভায়াদোদিলের মালিকানা কিনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট। সে ক্লাবের বিপক্ষে বার্সেলোনার পরশুর ম্যাচে অবশ্য ছোটবেলার আদর্শের ক্লাবকে এতটুকুন ছাড় দেননি মেসি। দলের ৫-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল এবং জোড়া অ্যাসিস্ট এই আর্জেন্টাইনের।
তাতে আবার পর্তুগিজ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাড়িয়ে গেছেন একদিক দিয়ে। ক্লাব ক্যারিয়ারের গোল সংখ্যায়। পরশুর দুইবার লক্ষ্য ভেদ করায় ৬৯৫ ম্যাচে ৬০৮ গোল হলো মেসির। পুরোটাই বার্সেলোনার হয়ে। অন্যদিকে স্পোর্তিং লিসবন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে ৬০৬ গোল রোনালদোর।
তবে এক রোনালদোর ক্লাবকে ছাড় না দেওয়া কিংবা আরেক রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে বার্সেলোনা সমর্থকদের স্বস্তির জায়গা অন্যত্র। মেসির বিধ্বংসী শ্রেষ্ঠত্বে ফেরা। মৌসুমের শুরুতে নাছোড়বান্দা ইনজুরি পিছু নিয়েছিল। তিনি মাঠের বাইরে চলে যাওয়ায় ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না বার্সা। পরশু টানা চতুর্থ ম্যাচে গোল করলেন মেসি। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের হতাশাজনক পারফরম্যান্স পিছু ফেলে ফিরল বিস্ফোরক বার্সেলোনা।
অধিনায়ক করেছেন দুই গোল, যার মধ্যে একটি ফ্রিকিকে। ফ্রিকিক থেকে ক্যারিয়ারে ৫০তম গোল করলেন তিনি। ভায়াদোদিলের বিপেক্ষ বার্সার অন্য গোলগুলো ক্লেমেন্ত লংলে, আর্তুরো ভিদাল ও লুইস সুয়ারেসের। কিন্তু ম্যাচ শেষে কোচ এর্নেস্তো ভালভের্দের প্রশংসার বড় অংশজুড়ে সেই মেসিই, ‘ওর মতো প্রতিভা আর কারো নেই। ট্রেনিংয়ে আমরা ওকে দেখি তো। যখন ভাববেন, লিও ডানে বা বাঁয়ে পাস দেবে, তখন ও এমন এক জায়গায় পাস দেবে, যেটি কেউ ভাবতেই পারবে না।’
মেসিতে আলোকিত ঝলমলে জয়ে স্প্যানিশ লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বার্সা। ১০ ম্যাচে তাদের ২২ পয়েন্ট। পরশু আলাভেসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ১১ খেলায় ২০।
ইতালিয়ান সিরি ‘এ’তে জুভেন্টাসকে টপকে শীর্ষে এখন ইন্টার মিলান। পরশু লাউতারা মার্তিনেস ও রোমেলু লুকাকুর গোলে ২-১ ব্যবধানে হারায় ব্রেসিয়াকে। তাতে জুভেন্টাসের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ২ পয়েন্টে এগিয়ে গেল ইন্টার। এ ছাড়া ইংল্যান্ডে ইএফএল কাপে ম্যানচেস্টার সিটি ৩-১ গোলে হারায় সাউদাম্পটনকে। আর জার্মান কাপে পিছিয়ে পড়েও বোকামের বিপক্ষে শেষ ১০ মিনিটের দুই গোলে জিতেছে বায়ার্ন। সের্জ জিনাব্রি ও টমাস মুলারের গোলে মুখরক্ষা। এএফপি