‘আজাদি মার্চ’ ইসলামাবাদে পৌঁছবে আজ
পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকার উত্খাতের লক্ষ্যে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখী লংমার্চ কর্মসূচি ‘আজাদি মার্চ’ গতকাল বুধবার লাহোরে পৌঁছেছে। দেশটির অন্যতম বড় ইসলামী দল জমিয়তে উলামা-এ-ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্ব এ ‘লংমার্চ’ চলছে। সরকার লংমার্চ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার লংমার্চটি রাজধানীতে পৌঁছবে।
এর মধ্য দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রথমবারের মতো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়লেন, যিনি এরই মধ্যে ফজলুর রহমানকে ‘ডিজেল মাওলানা’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে লংমার্চ ইসলামাবাদে পৌঁছলেও রাজধানীর রেড জোনে বিশেষ করে কূটনৈতিক পাড়ায় প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।
জেইউআই-এফের ডাকে এ ‘লংমার্চে’ অন্য বিরোধী দলগুলোর বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীও যোগ দিয়েছে। এতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। কর্মসূচি ঘিরে বিরোধী দলগুলো এরই মধ্যে স্থানে স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করেছে।
গত ২৭ অক্টোবর জেইউআই-এফ, পিপিপি, পিএমএল (নওয়াজ), আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি) ও অন্য দলগুলো করাচি থেকে এই লংমার্চ শুরু করে। জেইউআই-এফ জানিয়েছে, লংমার্চ ইসলামাবাদে পৌঁছার পর তারা সরকার উত্খাতের পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাবে।
পাকিস্তানের অন্যতম প্রবীণ ধর্মীয় নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত নির্বাচনে জয়লাভ করেননি। তিনি জনতার জয় চুরি করেছেন। ইমরান হচ্ছেন শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা ‘সিলেকটেড প্রধানমন্ত্রী’। ফজলুর রহমান বলেন, সরকারের অবসান না ঘটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ব্যাপক বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে এই লংমার্চ কর্মসূচির ডাক দেন মাওলানা ফজলুর রহমান। জনগণের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে শুরু করা তার এই কর্মসূচিকে বিভিন্ন দলও দ্রুত স্বাগত জানায়। তবে এই কর্মসূচি ইমরান খানের কাছেও অপরিচিত নয়। তিনিও ২০১৪ সালে বিরোধী দলে থাকার সময় কয়েক মাসব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর আন্দোলন সরকার পতনে ব্যর্থ হয়েছিল। সূত্র : এএফপি, দুনিয়ানিউজ (পাক)।