কক্সবাজারের ভারুয়াখালী-পিএমখালী সংযোগ সেতু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রমে সপ্তাহব্যাপী কানেক্টিং সড়ক নির্মাণে কাজ করছে শত শত গ্রামবাসী। প্রতিদিনই প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন স্বেচ্ছায় কোনো পারিশ্রমিক ছাড়া সড়কের কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ করে সড়কের কাজে অংশগ্রহণ করছেন বড় চৌধুরী পাড়া, ছোট চৌধুরী, ননামিয়াপাড়া, উল্টাখালী এবং আদর্শগ্রামের লোকজন।
বুধবার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইসলামের নেতৃত্বে ব্যান্ড বাজিয়ে একই ওয়ার্ড ছোট চৌধুরীপাড়া থেকে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন শ্রমিক নির্মাণ সড়কের কাজে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে এ প্রত্যাশায় সকলের মনে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে তারা।
তাই কোনোধরনের পারিশ্রমিক ছাড়াই সকলেই সম্মিলিতভাবে কানেক্টিং সড়কের কাজ করছে। এদিকে সেতু বাস্তবায়ন যাতে দ্রুত হয় সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন ভারুয়াখালীর জনসাধারণ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ভারুয়াখালী হচ্ছে কক্সবাজার সদরের আওতাধীন একটি ইউনিয়ন। কিন্তু স্থানীয় মানুষদের দুঃখের বিষয় হলো-যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধা না থাকায় ভারুয়াখালীর মানুষকে প্রায় ২৮/৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রামু উপজেলা হয়ে সদর থানা ও শহরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা থেকে দুই ঘণ্টা। যদি ভারুয়াখালী-পিএমখালী সংযোগ সেতু বাস্তবায়ন হয় তাতে সময় লাগতে পারে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মিনিট।
সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলে ভারুয়াখালীর দুই তৃতীয়াংশ, রশিদ নগর ইউনিয়নের কিছু অংশ, জোয়ারিয়ানালার কিছু অংশের লোক আট থেকে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২৫/৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে কক্সবাজার শহরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। এতে ভারুয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ-দুর্দশাও লাঘব হবে।
এ বিষয়ে ভারুয়াখালী-পিএমখালী সংযোগ সেতু বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা ও ইউপি সদস্য মো. ফজলুল হক বলেন, ভারুয়াখালী-পিএমখালী সংযোগ সেতু আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। এই সংযোগ সেতুটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোনো বিনিময় ছাড়া প্রতিদিন ১৫০/২০০ জন শ্রমিক স্বেচ্ছায় কানেকটিং সড়ক নির্মাণকাজ করে যাচ্ছেন।
এই কানেকটিং সড়কটি ৩৩শ’ ফুট লম্বা এবং ১২ ফুট চওড়া। কোনো প্রকল্প ছাড়াই স্বেচ্ছাশ্রমে এতবড় কানেকটিং সড়ক নির্মাণ কক্সবাজারের নজিরবিহীন বলে জানান স্থানীয়রা।