যুক্তরাজ্যের এসেক্সে লরির কন্টেইনারের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া ৩৯ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা সবাই ভিয়েতনামের নাগরিক। এর আগে তাদের চীনা নাগরিক মনে করা হলেও তা ভুল বলে জানিয়েছে এসেক্স পুলিশ।
এ ঘটনায় ভিয়েতনাম সরকার ও ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান তারা। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এই খবর জানানো হয়।
খবরে বলা হয়,বেশ কিছু ভিয়েতনামি পরিবার তাদের স্বজন হারানোর খবর জানিয়েছে। এর মধ্যে, ফাম থি ত্রা মাই নামে ২৬ বছরের এক তরুণী গত ২২ অক্টোবর রাতে তার কোনো একটি বিদেশি ভূমিতে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়েছে পরিবারের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া, মৃতদের মধ্যে ৩০ বছর বয়সী লে ভান হা নামে এক ভিয়েতনামি যুবক রয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন তার বাবা।
লরিতে ৩১ পুরুষ ও আট নারীর মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত চলছে।
এসেক্স পুলিশের অ্যাসিসটেন্ট চিফ কনস্টেবল টিম স্মিথ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের বিশ্বাস, নিহত ব্যক্তিরা সবাই ভিয়েতনামের নাগরিক। আর ভিয়েতনাম সরকারের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
এর আগে, ভিয়েতনামের হা তিন প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছিল, অজ্ঞাত দু’জনের নামে অবৈধ অভিবাসন চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে তারা।
এছাড়া, ৩৯ জনের হত্যাকারী সন্দেহে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের দুই ভাই রোনান হিউজ (৪০) ও ক্রিস্টোফারকে (৩৪) খুঁজছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে ওয়াটারগ্লেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এলাকায় একটি লরির কন্টেইনার থেকে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন কিশোর বয়সীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কন্টেইনারের ভেতর তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।