পাকিস্তানের লাহোর থেকে গত বুধবার  শুরু হয় ‘আজাদি মার্চ’। এই মহামিছিল বৃহস্পতিবার রাজধানী ইসলামাবাদে এসে পৌঁছেছে। এই ‘আজাদি মার্চ’র নেতৃত্বে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রভাবশালী দক্ষিণপন্থী নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান। তাঁর দল জামাত উলেমা-এ-ইসলাম (জেইউআই) ইমরান খানের সরকারকে উৎখাতের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইমরান খান ও তার সরকারকে পদত্যাগ করতে দুদিনের সময় বেঁধে দিয়েছে জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম (জেইউআই)। পার্টির আমির মাওলানা ফজলুর রহমান শুক্রবার (১ নভেম্বর) ইসলামাবাদে এক প্রতিবাদী মিছিল থেকে এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। 

মিছিল যত রাজধানীর দিকে পৌঁছেছে, ততই আর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ বাড়তে থাকে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে বিরোধী দলগুলো শুক্রবার কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে । তাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে ভোটে ব্যাপক রিগিং করে ক্ষমতায় এসেছেন ইমরান। তাদের দাবি, এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। ইমরান খানকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে বিরোধীরা।

শুক্রবার ইসলামাবাদে ফজলুর রহমানের দল ছাড়াও পিএমএল(এন),পিপিপি এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির নেতারা মিছিলে যোগ দিয়েছেন।

গতকাল ইসলামাবাদে কয়েক হাজার মানুষের এক জমায়েতে পিএমএল(এন) -এর সভাপতি শেহবাজ শরিফ বলেন, এই ভুয়া সরকারকে উৎখাতের সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ইমরান খান নিজাজিকে শান্তিতে থাকতে দেবো না।

ইমরান খানের উদ্দেশ তিনি বলেন, আপনি এই কন্টেনার রাজনীতি শুরু করেছিলেন। আপনি পার্লামেন্ট জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এমনকি আপনি আমার সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। আপনার ভাষায় আপনাকে জবাব দিতে আমার সঙ্কোচ হয়। তাই ওই ভাষা আমি ব্যবহার করব না। 

শেহবাজ শরিফ বলেন, ভোটে চূড়ান্ত রিগিং সত্বেও দেশের স্বার্থে আমরা একটি অর্থনৈতিক সনদের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রস্তাব তিনি( ইমরান) চূড়ান্ত অহংকার এবং দাম্ভিকতার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি জানান, সুযোগ পেলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে বিরোধীরা চাঙ্গা করে দেখাবে। গত ৭২ বছরের মধ্যে এর আগে কখনও এত খারাপভাবে দেশ চালানো হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।