নিউইর্য়ক ছেড়ে স্থায়ীভাবে ফ্লোরিডায় বসবাসের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ শুক্রবার এক টুইটে তিনি এ কথা জানান। তিনি অভিযোগ করেছেন, যথাযথভাবে নিয়ম মেনে বিধি অনুযায়ী যাবতীয় ট্যাক্স প্রদান করার পরও নিউইর্য়কের রাজনীতিবিদরা তার সঙ্গে ভালো আচরণ করছেন না!
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্ম নিউইয়র্কে হলেও ধীরে ধীরে শহরটির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন তিনি। তাই বেশি করে সময় কাটান ফ্লোরিডার পাম বিচের আলিশান বিলাশবহুল বাড়ি তথা রিসোর্টে। এবার সেই বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প।
নিউইয়র্কে বসবাসের প্রতি ট্রাম্প এত বিরক্ত হয়ে উঠছেন মূলত তার ডেমোক্রেট বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে। গভর্নর অ্যান্ড্রু কিউমো এবং মেয়র বিল দে ব্লাসিও উভয়ই আবার ট্রাম্প বিরোধী স্পষ্টভাষী ডেমোক্রেট। ট্যাক্স ফাঁকিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ট্যাক্স রিটার্ন কখনই প্রকাশ করেননি এবং ব্যক্তিগত করের তথ্যও প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ক্ষুব্ধ ট্রাম্প হয়তো অধিক স্বাচ্ছন্দ্যের নাগরিক জীবনের খোঁজে ফ্লোরিডায় আবাস গড়তে চান- নিউইয়র্ক টাইমসের করা এমন এক প্রতিবেদন টুইটারে শেয়ার করে তাতে ট্রাম্পকে ট্যাগ করে টিপ্পনী কাটেন নিউইয়র্কের স্টেট গভর্নর অ্যান্ড্রু কিউমো। তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাক্স দেওয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্প বরাবরই মিথ্যাচার করে আসছেন।
আর মেয়র বিল দে ব্লাসিও ট্রাম্পের ফ্লোরিডায় যাওয়ার কথায় স্বাগত জানিয়ে তো আরও এক ধাপ এগিয়ে টিপ্পনী দিয়ে টুইট করেন, ‘যাওয়ার সময় যেন দরজায় বাড়ি খাওয়ার মতো কোনো ঘটনা তোমার সঙ্গে না ঘটে।’
এসব টিপ্পনী এড়িয়ে না গিয়ে ঘণ্টাখানেকের মাথায় জবাব দেন গরম মাথার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বলেন, ‘১৬০০ পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউ, হোয়াইট হাউসকে ভালবেসে আমি থাকতে এসেছি, আমেরিকাকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিণত করতে হয়তো আরও পাঁচ বছর এখানেই থাকা হবে। কিন্তু আমার পরিবার এবং আমি ফ্লোরিডার পাম বীচেই আমাদের আবাস গড়তে চাই।’
উল্লেখ্য ফ্লোরিডার পাম বিচের মার-এ-লাগো রিসোর্টটি ১৯৮৫ সাল থেকেই ট্রাম্পের মালিকানাধীন এবং তিনি বর্তমানে হোয়াইট হাউস আর মার-এ-লাগোর রিসোর্টের মধ্যে সারাবছর আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন।
বহু সমালোচিত এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং হোয়াইট হাউসে আরও পাঁচ বছর থাকতে নিজের দৃঢ়তার কথা জানিয়েছেন।