বাতাসে শীতের পরশ আসতে না আসতেই অনেকেরই পায়ের গোড়ালি ফাটতে শুরু করে। ঠান্ডা যত বাড়তে থাকে, পা-ও ফাটা শুরু হয় তত বেশি। শীতকালে ফাটা গোড়ালি যেমন দেখতে খারাপ লাগে, অনেকের জন্য সেটা যন্ত্রণারও।
যাদের পা ফাটার সমস্যা আছে, তারা সারাবছর পায়ের যত্ন নিতে ভুলবেন না। তাহলে শীতকালে অনেকটাই এড়াতে পারবেন এ সমস্যা। শীতে যাদের গোড়ালি ফাটে, তারা সারা বছর পায়ে ময়শ্চারাইজারের প্রলেপ দিতে পারেন।
শীতকালে অবশ্যই এর পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে সারা বছর ব্যবহার না করলেও এ সময় ব্যবহার করলে পা ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যাদের কাজের প্রয়োজনে বেশি হাঁটাহাঁটি করতে হয়, বা যারা দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের পা ফাটার প্রবণতা আরো বেশি হয়।
তা থেকে বাঁচতে বাইরে বের হওয়ার আগেই উলের বা সুতির মোজা পরতে পারেন। সঙ্গে, পা ঢাকা জুতা পরতে একদম ভুলবেন না। বাড়িতেও স্লিপারের সঙ্গে সুতির মোজা পরে থাকা ভালো।
কর্মরতদের অনেকেই এখন সারা বছর পায়ে সুতির মোজা পরেন। এতে পা ভালো থাকে। কষ্ট হলেও গরমে যদি বাড়ির বাইরে বের হলে সুতির মোজা পরে থাকতে পারেন, তাহলে শীতকালে উপকার পাবেন।
অনেকটাই কমবে পা ফাটার সমস্যা। জুতা কিংবা মোজায় যেমন পায়ের আর্দ্রতা বজায় থাকে, তেমনই অন্যদিকে, জীবাণু থেকেও রক্ষা পায় পা। আরেকটি জিনিস পায়ের জন্য নিয়মিত করুন। হালকা গরম পানিতে পায়ের গোড়ালি ডুবিয়ে বসুন। তারপর ভালো করে পা মুছে ক্রিম লাগান।
সব চেয়ে ভালো হয়, যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটা করতে পারেন। মোছার পরে শুকনো পায়ে ক্রিম লাগিয়ে সুতির মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। নইলে, অন্য যে কোনো সময় এটা করতে পারেন।
শুষ্ক বাতাসে পায়ের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার জন্যই ত্বক ফাটতে শুরু করে। প্রয়োজনের তুলনায় পানি পান কম হলে বা দীর্ঘক্ষণ গরম পানিতে গোসল করলেও পা ফাটার প্রবণতা বাড়ে। যারা ঝামাপাথর দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পা পরিষ্কার করেন, তাদেরও পা ফাটার আশঙ্কা অনেক বেশি।