বাংলাদেশ কখনো ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জেতেনি। তার মধ্যে আছে ২০১৬ বিশ্বকাপে খুব কাছাকাছি গিয়ে হারা। এবার তাদেরই মাটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রোহিত শর্মাদের উড়িয়ে দিয়েছেন মুশফিকরা।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে সাত উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
আজ রোববার সন্ধ্যায় অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা তুলেছে ১৪৮ রান। টার্গেটে খেলতে নেমে তিন বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মুশফিকুর রহীম। ৩৫ বলে ৮টি চার ও ১টি ছয়ের মারে তিনি এই রান করে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৭ বলে ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ।
এ ছাড়া সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। তবে ব্যর্থ ছিলেন লিটন দাস। তিনি মাত্র ৭ রান করেন। অভিষেকে খেলতে নেমেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তিনি ২৮ বলে ২৬ রান করেন।
এর আগে ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে এলবির ফাঁদে পড়েন রোহিত শর্মা। দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এর পর দলীয় ৩৬ রানের মাথায় আমিনুল ইসলামের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ১৭ বলে ১৫ রান করা লোকেশ রাহুল। দলীয় ৭০ রানের মাথায় আবারও আঘাত হানেন লেগ স্পিনার আমিনুল। ফিরিয়ে দেন শ্রেয়ার্স আইয়ারকে। ১৩ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় ২২ রান করে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
ম্যাচের ১৫তম ওভারে রানআউট হন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। বিদায়ের আগে এই ওপেনার ৪২ বলে করেন ৪১ রান। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর একটি ছক্কার মার। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ভারত চতুর্থ উইকেট হারায়। ১০২ রানের মাথায় বিদায় নেন অভিষিক্ত শিভাম দুবে (১)। আফিফ হোসেনের বলে তারই হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই অভিষিক্ত।
ক্রুনাল পান্ডিয়া ৮ বলে ১৫ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। মোস্তাফিজ ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। ৩ ওভারে আমিনুল ২২ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। সৌম্য সরকার ২ ওভারে ১৬, মোসাদ্দেক ১ ওভারে ৮, মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ১০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। আল আমিন ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। আফিফ হোসেন ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।