আদরের সন্তান লম্বা হোক তা কে না চায়? সন্তানকে লম্বা বানাতে তাই নানা ফুড সাপ্লিমেন্টস খাওয়ান অনেকেই। তবে এসব প্রক্রিয়াজাত খাবার না খেতে দিয়ে সন্তানকে প্রাকৃতিক খাবার খেতে দিয়েও উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ জানিয়েছে, সাধারণত ছেলেদের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত আর মেয়েদের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২১ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই এ সময়ে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কয়েকটি বিশেষ খাবার রাখা খুবই জরুরি। এসব খাবার আপনার সন্তানকে উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে…
পালংশাক
অনেকেই পালংশাক খেতে পছন্দ করেন। তবে পরিবারে শিশু-কিশোর থাকলে পালংশাক খাওয়ার অভ্যাস বাড়ান। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল রয়েছে। এ উপাদানগুলো উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত পালংশাক খেলে অল্প কিছু দিনের শিশুদের মধ্যেই উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
সয়াবিন
সয়াবিনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা টিস্যু ও হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুকে নিয়মিত ৫০ গ্রাম সয়াবিন খাওয়ান, দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যেই শিশুর উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি বেড়ে গেছে।
মটরশুঁটি
অনেকেরই পছন্দের খাবার মটরশুঁটি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, লুটেইন ও প্রোটিন। এসব উপাদান শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবুজ বা তরতাজা মটরশুঁটি খাওয়াই ভালো। কেননা শুকনো মটরশুঁটিতে এসব উপাদান থাকে না।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, প্রোটিন ও ফাইবার উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাঁধাকপি ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
ঢ্যাঁড়স
ঢ্যাঁড়স খুবই পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, জপানি ও ফাইবার থাকে। এসব উপাদান শরীরের গ্রোথ হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে।
শালগম
শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য শালগম খাওয়াতে পারেন। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, প্রোটিন, এবং ফ্যাট আপনার শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।