ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, তারা পরমাণূ কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য যে আন্তর্জাতিক চুক্তি করেছিল- তা লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ আবার শুরু করবে। তেহরানের কাছে ফরদাও নামের একটি অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় ইরান এক হাজারেরও বেশি সেন্ট্রিফিউজের ভেতর গ্যাস ভরা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আবার সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং জার্মানির সঙ্গে সম্পাদিত ওই চুক্তি মোতাবেক ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু ওই চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই তারা ওই চুক্তির শর্তগুলো ভাঙতে শুরু করে। বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে সম্পাদিত এক টেকনিক্যাল চুক্তির অধীনে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রেখেছিল। বিনিময়ে তার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। কিন্তু ইরানের পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই চুক্তির শর্ত আরো বেশি করে লঙ্ঘন করা হলো।
তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন এবং ইরানের ওপর কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করেন। তিনি চেয়েছিলেন, ইরানকে যেন ওই চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করা যায়। কিন্তু এর জবাবে এ বছরের প্রথম দিক থেকেই ইরান ওই চুক্তির শর্তগুলো ক্রমান্বয়ে ভাঙতে শুরু করে।
তেহরানে এক ভাষণে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, যখনই ওই চুক্তির অন্যান্য পক্ষগুলো তাদের অঙ্গীকার পূরণ করবে, তখনই তার দেশ সেন্ট্রিফিউজে গ্যাস ভরার কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে।