দিল্লির দূষিত পরিবেশ নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছিল। ওই দূষিত পরিবেশে কিভাবে খেলবে ক্রিকেটাররা, তা নিয়েও কম হইচই হয়নি। ক্রিকেটারদের দেখা গেছে মাস্ক পরে অনুশীলন করতে। কিন্তু তবুও এমন পরিবেশে ঠিকেই খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ম্যাচ শেষ হওয়ার তিনদিন পর হঠাৎ করেই জানা গেলো, দিল্লিতে ম্যাচ চলাকালে নাকি বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অথচ, এ খবর খুব বেশি মিডিয়ায় আসলো না। এ খবর নিয়ে হইচইও হলো না।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সূত্রে কলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকা এ খবর পরিবেশন করেছে। তারা জানাচ্ছে, বাংলাদেশের যে দুই ক্রিকেটার ম্যাচ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন সৌম্য সরকার। অন্যজনের নাম জানা যায়নি।

আনন্দ বাজার পত্রিকা লিখেছে, ‘ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ক্রিকইনফোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ম্যাচ চলাকালীন বমিও করেন তারা। এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে একজন সৌম্য সরকার। আর একজনের পরিচয় জানা যায়নি।’

দুই বছর আগে, ২০১৭ সালে ফিরোজ শাহ কোটলায়ও একই কাণ্ড ঘটেছিল। সেবার কোটলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ। বায়ু দূষণের কারণে খেলা থামিয়ে দিতে হয়েছিল। মাস্ক পরে খেলতে নেমেছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। ভারতীয় দলের সদস্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেবার।

এবারই একই ছবি। যদিও সৌম্য সকারের সঙ্গে অন্য ক্রিকেটার কে অসুস্থ হয়েছিলেন, তার খবর জানা যায়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সৌম্য সরকার অসুস্থ হলেও বাংলাদেশের জয়ে তার বড় অবদান ছিল। ভারতের রান তাড়া করতে নেমে ৩৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। মারেন একটি বাউন্ডারি ও দু’টি ছক্কার মার।

বছরের এই সময়টাতে দূষণের জন্য প্রতিবারই দিল্লির বাতাস দূষিত হয়ে ওঠে। এবারও সে রকমই হয়েছিল। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের বল গড়ানোর আগেই পরিবেশবিদরা ভেন্যু বদলানোর আবেদন করেছিলেন বিসিসিআইকে। কিন্তু বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘ম্যাচের ভেন্যু সরানো সম্ভব হবে না।’

খেলার আগে শঙ্কা ছিল দিল্লির দূষণে শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে পারেন ক্রিকেটাররা। সেটাই প্রমাণ হল শেষ পর্যন্ত।