নিউজ ডেস্ক

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর : মহান বিজয় দিবস সমাগত। রাত পোহালেই বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সবাই সমবেত হবেন সাভারের নবীনগরের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এজন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রস্তুত।প্রস্তুত

দিবসটির প্রথম প্রহরে জাতির বীর সন্তানদের উদ্দেশে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিশিষ্ট জনেরা। এরপরই সর্বস্তরের মানুষের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে যাবে শহীদ বেদী।

বিজয় উদযাপনে প্রতিবছরের মত এবারো সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধ। পুরো স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ধুয়ে মুছে এরইমধ্যে ঝকঝকে করে তোলা হয়েছে। বর্ণিল ফুলের চারা রোপণ ও রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ চত্বর। লাল, নীল, হলুদ রঙীণ বাতিতে ঝলমল চারদিক।

জানা যায়, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে গত ১৫ দিন ধরেই পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করছেন গণপূর্ত বিভাগের ৬৫জনসহ বহিরাগত প্রায় আরো ৫০ জন কর্মচারী। স্মৃতিসৌধ স্তম্ভসহ পুরো এলাকা ধুয়ে ফেলার পর শহীদ বেদী থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত পায়ে হাঁটার লাল ইটের পথকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়েছে। এছাড়া প্রতি বছরের মত সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ বাহারী ফুল গাছের চারা। লেকের বাড়তি জলজ উদ্ভিদ পরিস্কার করে লাগানো হয়েছে লাল পদ্ম। এছাড়া পুরো এলাকায় শোভা বর্ধনে গাছ ও ঘাস ছেঁটে ফেলাসহ আলোকবাতি স্থাপনের কাজও এরইমধ্যে শেষ করা হয়েছে।

স্মৃতিসৌধের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাগর মিয়া জানালেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় রঙের কাজ করছেন তিনি। প্রতিবছর দিনচুক্তিতে এই কাজ করেন। এতে অর্থের সঙ্গে সঙ্গে শহীদদের প্রতি ভালোবাসা জানানোর সুযোগও মেলে বলে কাজটি করতে ভালোবাসেন তিনি।

সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে। এবছর স্মৃতিসৌধকে একটু অন্যরকম করে সাজানোর চেস্টা করা হয়েছে। এসব কাজের জন্যে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখা হয়েছিল।’

১৬ ডিসেম্বর সকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন সরদার রাইজিংবিডিকে বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগত সকলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্যে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করবে।