অনলাইন রিপোর্টার ॥
আওয়ামী লীগের কতজন মন্ত্রী-এমপি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজকে অনির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা অনেক বড় বড় কথা বলেন। তারা বিএনপিকে উপদেশ দেন। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই- ৭১ সালে যুদ্ধের সময় কতজন বাংলাদেশে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তার হিসাব চাই আমরা।’
রবিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট মিলানায়তনের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন- ৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়াউর রহমান ছিলেন। তিনি কোনও মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই-এমন বলতে চান। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেন না- আওয়ামী লীগের অতীত কী ছিল আর জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কী ছিল। সেইদিন আপনারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি স্মরণ করে দিতে চাই- গণতন্ত্র বারবার কাদের হাতে নিহত হয়েছে। তাদের হাতে, যারা দাবি করে- স্বাধীনতার যুদ্ধের একমাত্র ধারক-বাহক ও অধিকারী; তারাই ১৯৭২ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত যখন দেশ শাসন করেছে একে একে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। দেশের মানুষ তা ভুলে যায়নি।’
জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী খুব খারাপ কথা বলেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি তা উচ্চারণ করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী বলেছে- খন্দকার মোশতাক জিয়াউর রহমানকে প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করে সুবিধা করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তখন কোথায় ছিলেন? জানেন কী দেশের মানুষ তখন কী অবস্থার মধ্যে পড়েছিল। খন্দকার মোশতার ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মানুষ। তিনি এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা সেই সময় ষড়যন্ত্র করে তাকে সরিয়ে সরকার গঠন করেছিল। আমরা সেই কথা ভুলে যাইনি।’
আওয়ামী লীগ বিভিন্ন আইন, মামলা, নির্যাতন করে বিএনপির মুখ বন্ধ করে দিতে চায় বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এই মুখ তো বন্ধ হওয়ার নয়। সত্য কথা সব সময় উচ্চারিত হবে এবং সত্যের জয় হবে।’
নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এদেশে আর কখনও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা জানি না। এখন ৭-৮ শতাংশ ভোটারা ভোট দিতে যায় না। ’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।