মুহাম্মদ রকিবুল হাসান (রনি)

রাজধানীর রূপনগর থানার দুয়ারীপাড়া বস্তি উচ্ছেদ আতঙ্কে লাখো মানুষের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। সেখানে বাসাবাড়ি, বস্থির হাজার হাজার বাসিন্দা তীব্র শীত উপেক্ষা করে সারারাত রাস্তায় বেরিয়ে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেন।

তারা লাঠিসোটা নিয়ে ঘনবসতির চারপাশে ঘিরে মহান প্রাচীর গড়ে তুলেছে। উচ্ছেদ আতঙ্কে দিশেহারা বাসিন্দারা বলেছেন – ‘যান গেলে যাক, তবুও বারবার উচ্ছেদের নামে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারাতে পারবো না’।
অন্যদিকে এলাকার নারী ও শিশুদের মধ্যে চলছে কান্নার ঘনঘটা। গত শনিবার রাত দশটা থেকে রবিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত এসব প্রতিবাদ, আহাজারি এবং এর পাশে পাশাপাশি উচ্ছেদ সংক্রান্ত মাইকিং।

জাতীয় গৃহায়ন অধিদপ্তর ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে এ উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রমতে জানা যায় দুয়ারীপাড়া বস্তি জাতীয় গৃহায়ন অধিদফতরের ঝিল আকৃতির পরিত্যক্ত জায়গা বিগত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে জনবসতি গড়ে ওঠে।

বস্তি এবং এলাকাবাসী গতশনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত রাস্তায় আগুন জ্বেলে, টায়ার পুড়িয়ে, কাঠে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন।

রবিবার সকাল ৯ টার মধ্যে
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দুয়ারীপাড়া বস্তিতে অবস্থান নেন। মিরপুর জোনের ডিসির নেতৃত্বে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সাড়ে নয়টায়। দশটি বুলডোজার নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম বুলডোজার কার্যক্রম শুরু করতে গেলে বস্তিতে বসবাসরত জনগণ একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। বিভিন্ন ইট-পাটকেল লাঠিসোটা নিয়ে শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নেন। তখন একটি টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। ৩০মিনিট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম শুরু করে। উচ্ছেদ অভিযানে প্রথম বুলডোজার চালকসহ পাঁচজন আহত হন। প্রায় ঘন্টা ৭ এর মধ্যে ৯০ শতাংশ উচ্ছেদ অভিযান সম্পূর্ণ হয়।

মিরপুর জোনের ডিসি, ম্যাজিস্ট্রেট, রূপনগর থানার ওসি উচ্ছেদ অভিযান চলমান অবস্থায় প্রেস কনফারেন্সে দৈনিক ‘খবরের আলো’ এবং উচ্চকণ্ঠ মিডিয়াকে বলেন – দুয়ারীপাড়া বস্তির সকল মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর তারা তাদের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেন।

ওই সময় সংবাদ গ্রহণের জন্য দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোঃ সোহাগ, ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ মিজানুর রহমান স্বাধীন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মদ রকিবুল হাসান রনি, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল করিম (রনি), রিপোর্টার রেজাউল করিম (লিমন), আমিন হোসেন, মোশারফ হোসেন মনা, মনির সহ অসংখ্য সংবাদকর্মী।

উপস্থিত ছিলেন – উচ্চকণ্ঠ, সম্পাদক ও প্রকাশক, মুহাম্মদ রকিবুল হাসান