বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দিনটি উপলক্ষে বিএনপি দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।

প্রতিবছর এদিন সকালে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া মাহফিলে অংশ নেন তার স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবান্দি। তাকে ছাড়াই এবার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির সিনিয়র নেতারা।

আজ সকাল ১০টায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে সেখানে এক মিলাদ মাহফিল ও বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

বিএনপির উদ্যোগে বেলা ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ড্যাবের উদ্যোগে সকাল থেকে শুরু হবে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্রোড়পত্র প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার ছাপানো হয়েছে।

জিয়াউর রহমানের ডাক নাম কমল। ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ১৯৭৫ সালের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবার আলোচনায় আসেন জিয়াউর রহমান। নানা পটপরিবর্তনের একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নিহত হন।

জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, জাতির এক যুগসন্ধিক্ষণে জিয়াউর রহমান এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি হন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।

জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত, ঠিক সেই সংকটের এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। জাতির এ রকম এক চরম দুঃসময়ে ৭ নভেম্বর সৈনিক জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহীদ জিয়া ক্ষমতার হাল ধরেন। তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার জন্মদিনে তার প্রদর্শিত পথেই আমরা আধিপত্যবাদের থাবা থেকে মুক্ত হব ও গণতন্ত্র ফিরে পাব। আর এর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচারের কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।