চীনের নতুন ভাইরাস এসএআরএস ( সার্স )-এর বিস্তার ঠেকাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে চীন থেকে আসা সরাসরি ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বিমানবন্দরে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য সহকারী এবং বয় ও আয়াসহ হেলথ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। এসব নিয়ে গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিমানবন্দরে ওরিয়েনটেশন প্রোগ্রাম করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তাসহ বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক নার্স বয় ও আয়াসহ সংশ্লিষ্টরা এ ওরিয়েনটেশনে অংশ নেন।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ঢাকা-চীন-ঢাকা রুটে প্রতিদিন সরাসরি চীন থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের ছয়টি ফ্লাইট যাওয়া-আসা করে। চীন থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ এসএআরএস ভাইরাস ঠেকাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, চীন থেকে আসা তিনটি সরাসরি ফ্লাইটের যাত্রীদের ফিজিক্যাল স্ক্রিনিং করানো হচ্ছে। বিমানবন্দরে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে আসার সংকেত দেওয়ার পর ওই যাত্রীকে পরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ ছাড়া চীনের এ নতুন ভাইরাস যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে এ ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নিউমোনিয়ার মতো ভাইরাসটি নতুন এক ধরনের সার্স ভাইরাস। এর সংক্রমণে রোগী সাধারণ সর্দি কাশি থেকে শুরু করে প্রাণঘাতি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়। এখন পর্যন্ত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে ৪১ জন ব্যক্তির মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
তবে ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৭০০। চীন ছাড়াও জাপান ও থাইল্যান্ডে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।