‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন এশিয়ার মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। মুজিববর্ষ ১৭ মার্চ থেকে সেলিব্রেশন হবে। আমরা ওই প্রগ্রামে অংশগ্রহণে প্রস্তুত। মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমাদের যে লোকজন আসবে, সেখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরো আন্তরিক ও গভীর হবে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন। সফরকালে হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী প্রশান্ত কুমার দাশ, হাইকমিশনের ফার্স্ব সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) নবনিতা চক্রবর্তী, প্রটোকল অফিসার নিরাজ কুমার বিলখা ও সহকারী কে এম এস রেড্ডি।
মুজিব জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনের উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্য নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলেন তা শেষ করতে পারেননি। তাঁর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করতে চলেছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের গ্রোথ হচ্ছে। প্রচুর অর্থনৈতিক ও সামাজিক গ্রোথ হয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, চারদিকেই দেখি অনেক উন্নয়ন। এসব পুরো প্রসেসে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছি। আগেও ছিলাম, আগামীতেও থাকব।’
রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, ‘আমি প্রথমবার টুঙ্গিপাড়ায় এসেছি। এখানে বাংলাদেশের জাতির জনককে সম্মান দেখাতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভারতের একটা অন্য রকম সুসম্পর্ক ছিল।’
পরে সকাল ১১টায় তিনি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পরিদর্শন করেন। তাঁকে স্বাগত জানান কালীবাড়ির সভাপতি অরুণ কান্তি বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক বিভূতি রায়সহ অন্য নেতারা।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সফরকালে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল্লাহ আল বাকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মাসুদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুত্ফার রহমান বাচ্চু, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু, জেলা যুবলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আযম, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিহাবউদ্দিন হিটু, হিন্দু কমিউনিটি নেতা সুবোধ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।