চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতশ ২২ জনে ঠেকেছে। শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত ৩৪ হাজার পাঁচশ ৪৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

বৈশ্বিকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে ব্যাপকভাবে তৎপর রয়েছেন চীনের কর্মকর্তারা। এদিকে যে চিকিৎসক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগাম সতর্কতা দিয়ে আটক এবং হুমকি পেয়েছিলেন, পরে তিনি মারা গেলে জনরোষ দেখা দেয়। জনগণের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি।

জানা গেছে, ডিসেম্বরের শুরুতেই ডা. লি ওয়েনলিয়েং (৩৪) জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস নামক প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ওই দাবি করার পর তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

কিন্তু পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তো বাড়ছেই। অথচ, প্রথমে অন্যদের সতর্ক করতে যাওয়া সেই চিকিৎসকও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

চীন সরকার বলছে, ওই চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসক যে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, তারপর হয়রানির অভিযোগও তদন্ত করে দেখা হবে।

বিপাকে পড়ে অন্তত ১৭টি শহরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে চীন। বিভিন্ন দেশও করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে বিরত থাকছে।

এদিকে জাপানের যাত্রীবাহী সেই জাহাজে অন্তত ৬১ জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা সমুদ্রে থাকা সেই জাহাজেই রয়েছেন।

সূত্র : ফক্স নিউজ