সম্প্রতি হিন্দু মহাসভার উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত বচ্চন খুন হন। এই খুনের বিষয়ে সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোনও আততায়ী নয়। নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীই রয়েছেন তাঁর খুনের পেছনে। রঞ্জিত বচ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী স্মৃতি শ্রীবাস্তব, তাঁর প্রেমিক দীপেন্দ্রসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশের অভিমত, মূলত স্ত্রীর পরকীয়ার জন্যই খুন হতে হয়েছে বচ্চনকে। 

 গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে লখনউয়ের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুষ্কৃতিকারীদের হাতে খুন হন রঞ্জিত বচ্চন। গুলিতে আহত হন তাঁর চাচাত ভাই আদিত্য শ্রীবাস্তবও। তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে পুলিশ। পারিবারিক কোনও কারণে খুন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের। তারপরেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যিটা। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রঞ্জিত বচ্চন ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী স্মৃতি শ্রীবাস্তবের মধ্যে সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না। রাজ্যের ট্রেজারি দপ্তরে ক্লার্কের কাজ করেন স্মৃতি। তাঁদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে আলাদা থাকতেন তাঁরা।  

লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার সুজিত পাণ্ডে জানিয়েছেন, দীপেন্দ্র কুমার নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্মৃতির। তাঁরা বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দু মহাসভার নেতা রঞ্জিত বচ্চনেরও একাধিক সম্পর্ক ছিল। ২০১৫ সালে স্মৃতিকে বিয়ে করার সময় তিনি বলেননি, যে তাঁর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। এই বিয়ে ও অন্যান্য সম্পর্কের কথা জানতে পারার পরেই রঞ্জিতবাবুকে ছেড়ে আলাদা থাকা শুরু করেন স্মৃতি। এরপর ডিভোর্সের মামলাও করেন। কিন্তু সেই মামলা এখনও চলছিল। এরপর কয়েকদিন আগেই দু’জনে দেখা করেছিলেন। সেদিন স্মৃতিকে চড় মারেন রঞ্জিত। 

পুলিশের ধারণা, এই সব কিছুর প্রতিশোধ নিতেই খুন করা হয়েছে বচ্চনকে।