মাহফুজ বাবু
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১নং কালির বাজার ইউনিয়নের আনন্দপুরে সৌদি প্রবাসী মোক্তার হোসেন’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি’র দাবীতে স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত। গতকাল রবিবার বিকেলে শতশত এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিক্ষোভ মিছিলটি আনন্দপুর ফরাজি বাড়ি (মোক্তার হোসেনের বাড়ি) থেকে শুরু হয়ে দিঘলগাঁও হাতিগাড়া কালির বাজার ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আনন্দপুরে এসে শেষ হয়। সেদিনের ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার নিহত মোক্তার হোসেনের ছোট ভাই সৌদি আরব প্রবাসী খোকন ও তার পরিবারের দাবী, ভাইয়ের হত্যাকান্ডে জড়িত চাঁদাবাজ ও খুনি সন্ত্রাসী কালা বাহিনীর প্রধান কালা সহ পলাতক আসামীদের কে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে আনন্দপুরে প্রতিবাদ সভায় তারা এসব কথা বলেন। এসময় এলাকার স্থানীয় নেতৃবৃন্দ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ এলাকার সকলে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ৩০জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনন্দপুর ফরাজি বাড়িতে নিজ স্ত্রী পুত্রের সামনে ঘরের পাশে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় প্রবাসী মোক্তার হোসেন (৪৫) কে। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী কালা বাহিনীর প্রধান ফিরোজ ওরফে কালার নেতৃত্বে ইউসুফ, সুমন, ইউসুফ আহাম্মেদ, শাহ নেওয়াজ, সফিকুল, জয়নাল,রশিদ, তিতাস,সহিদুল ও কামাল সহ বহিরাগত ৪/৫ জন সন্ত্রাসীদের একটি দল প্রবাসী পরিবারটির ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় মোক্তার হোসেন সহ তার দুই ভাই খোকন ও ইমাম হোসেন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে নেয়ার পথেই মোক্তার হোসেনের মৃত্যু হয়। আহতদের মাঝে ইমাম হোসেন কে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল তানভীর সালেহীন ইমন সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসীর সহায়তায় রশিদ, কামাল, জয়নাল ও সফিককে আটক করে পুলিশ।
সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মোক্তার হোসেনের পরিবার বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় উল্লেখিত আসামীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে জেল সিআইডি সাব-ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলামের তদন্তাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার আনন্দপুরে গিয়েছি এবং বাদী স্বাক্ষী সহ স্থানীয়দের সাথে মামলা ও আসামীদের আলোচনা করেছি। আসামীদের ৪জন আটক রয়েছে, বাকি পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।