বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, ঢাকা ও এর আশেপাশের অবস্থিত পর্যটন আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতি সপ্তাহে উন্নত দেশের মত ডাবল ডেকার পর্যটন বাস চালু হচ্ছে। এর মাধ্যমে একদিনের মধ্যে ঢাকা ও এর আশেপাশের পর্যটন আকর্ষণ সমূহ ঘুরে দেখার ব্যবস্থা করা হবে। অচিরেই এরকম চারটি বাসের মাধ্যমে ঢাকা ও এর আশপাশের পর্যটন গন্তব্য বিশেষ ট্যুর পরিচালনা করা হবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পর্যটনের প্রসারে মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিশেষ ভ্রমণ ম্যাগাজিন ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় পর্যটন আকর্ষণকে বিশ্বের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গৌরবময় ইতিহাস ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্যসহ আমাদের যে বৈচিত্র্যময় পর্যটন সম্ভার রয়েছে তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল পর্যটকের কাছে যথাযথ প্রচারণার মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমন্বিত ও পরিকল্পিত পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। এই মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ পর্যটনের নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেন, আমরা এই মুহূর্তে মুজিব বর্ষ উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের কাজ শুরু করা হচ্ছে যাতে দেশি-বিদেশি প্রতিটি যাত্রী বাংলাদেশ পা রাখা মাত্র এটি অনুধাবন করতে পারে এই দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করেই আমাদের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোন যাত্রীর এ পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিমানবন্দরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বিধায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারকে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করার জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ চলছে। কক্সবাজারে অবস্থিত পর্যটন কর্পোরেশনের সকল হোটেল-মোটেলে আধুনিকায়নে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পর্যটকদের যে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় কক্সবাজারেও পর্যটকদের জন্য সেই ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতে সাময়িক কিছুটা প্রভাব পড়লেও, দীর্ঘমেয়াদি কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এই প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার যথাযথ পরিকল্পনা মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আতিকুল হক ও পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস।