রাজধানীর মিরপুরে বিএনপির মিছিলে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অন্তত ৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবিতে আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাতে লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতৃবৃন্দ।

পুলিশের লাঠিপেটায় রিজভী ছাড়াও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাওসার, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নেতা সাইফুল ইসলাম তুহিনসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সকাল ১০টার দিকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজারের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিল শুরুর আগে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। বক্তব্যের পর পরই মিছিল শুরু হলে পুলিশ অতর্কিতে মিছিলে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে মিছিলে নেতৃত্বে থাকা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এর পরই মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, পুলিশের এ ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে এটি স্পষ্ট বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের পুলিশ এখন দলীয় কর্মীতে পরিণত হয়েছে। দেশকে বানানো হয়েছে পুলিশি রাষ্ট্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করেই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের শোষকে পরিণত হয়েছে। তিনি পুলিশের হামলায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। 

রিজভী বলেন, দেশের মানুষ বর্তমান অবৈধ সরকারের নিপীড়নে অতিষ্ঠ। হামলা মামলা দিয়ে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানো যাবে না। যেকোনো সময় জনবিস্ফোরণ ঘটবে। তখন ক্ষমতাসীন অবৈধ আওয়ামী সরকার ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। জনগণের আন্দোলনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। আর তখন দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।