মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট
চুনারুঘাটে লালচান্দ বাগানের শিশু সুহাগ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় মূল অভিযুক্ত আসামী ফজলু মিয়া (২৫) কে দীর্ঘ আড়াইমাস পর রাবার বাগানের গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। গতকাল গভীর রাতে চুনারুঘাট থানার ওসি মো: আলী আশরাফের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই আবুবক্কর খান সহ একদল পুলিশ চুনারুঘাট থানাধীন রাবার বাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ফজলু মিয়া উপজেলার লালচান্দ গ্রামের নবীর হোসেনের পুত্র। প্রসঙ্গত গেল বছর ৪ ডিসেম্বর শিশু সুহাগকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাঁশবাগানের ধোপাছড়া খালের মধ্যে পেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনায় জড়িত রঙ্গু মিয়ার ছেলে রাজু নামের একজনকে আটক করেন। পরে ৬ ডিসেম্বর সুহাগের মা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুবক্কর খান মামলার বরাতদিয়ে জানান, সুহাগের পিতা হিরণ মিয়া মারা যাওয়ার পর থেকে সুহাগের মা আছমা তার সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করছিলেন। সুহাগের মামা আল আমিন ডুবাই প্রবাসী । দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছেন। মামা আল-আমিন প্রবাসে থাকায় সুহাগের মা আছমা তিন সন্তান নিয়ে ভাইয়ের বানানো বাড়িতেই বসবাস করছেন। সুহাগের মামা আল আমিন প্রবাসে থাকায় মামীর দিকে কু-দৃষ্টি পড়ে পাশের বাড়ির তিন বন্ধুর । আসামীরা সু কৌশলে নিহত সুহাগকে ডেকে নিয়ে বলে তার মামীকে ফ্রুটো জুসের সাথে ঘুমেরে টেবলেট খাওয়াতে । সুহাগ তাদের কথায় রাজি হয়নি বরং সুহাগ তার মা ও তার মামীকে জানায়। বিষয়টি সুহাগের পরিবার প্রধান আসামীর মা আইয়ুব চানকে জানান। এর পর থেকে আসামীরা সুহাগের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে । গত চার ডিসেম্বর রাত বারোটায় বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় উল্লেখিতরা । পরদিন ৫ ডিসেম্বর সুহাগের নানার বাড়ির বসতঘরের পশ্চিম দিকে ধোপাছড়া খালের পানিতে গামছা দিয়ে বাধা রক্তাত অবস্থায় ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ওসি মো: আলী আশরাফ জনান, সুহাগ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত রাজু ফজলুসহ ২ জন গ্রেফতার আছেন। আরো একজন পলাতক। অপর আসামীসহ ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। রবিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।