চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 

মেডিক্যালে পড়াশোনা না করেই দাখিল পাস আয়েশা আক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিতেন!

শুধু তাই নয়, নারী ও শিশু, চর্ম, গাইনি, সার্জন বিশেষজ্ঞও লিখে চুনারুঘাট পৌর শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে জেল জরিমানা করলেও থেমে থাকেনি তার অপচিকিৎসা।

অবশেষে সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী পারভেজ মিয়ার করা মামলায় আয়েশা আক্তার হবিগঞ্জ আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই উপজেলার রানীগাও ইউনিয়নের মিরাশী গ্রামের পারভেজ মিয়ার স্ত্রীর সন্তান প্রসব করানোর জন্য ডাক্তার পরিচয়ে যান আয়েশা আক্তার। আয়েশার অপচিকিৎসায় পারভেজ মিয়ার নবজাতক মারা যায় এবং প্রসূতি মা সাবিকুন্নাহার মারাত্মকভাবে জখম হন। এই ঘটনায় আদালতে মামলা করেন পারভেজ মিয়া। এরপর দীর্ঘ তদন্তের পর চুনারুঘাট থানা আয়েশাকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দিলে চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর আয়েশাকে সমন জারি করেন আদালত।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেবুন্নেছা চৌধুরী মুক্তা মুঠোফোনে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত আয়েশা আক্তারের অপচিকিৎসায় একটি বাচ্চা মারা যায়, আমরা তা আদালতে উপস্থাপন করি, যা আদালত আমলে নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত আয়েশা আক্তারের বাড়ি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের জারুলিয়া গ্রামের মৃত মেন্দি মিয়ার মেয়ে।