বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় এলাকার দীর্ঘদিনের ইন্টারনেট ও ডিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে একদল সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হামলা চালায়।

হামলা কারিরা ইন্টারনেট ও ডিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (A2Z Net ,25/4 শেরেবাংলা রোড) সাথে তাদের সফটয়্যার (A2Z BYTE, 52/6 শেরেবাংলা রোড) ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান (Ismail Enterprises, 52/6 শেরেবাংলা রোড) প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়।

হামলা কারিরা অফিসের সরঞ্জাম, আসবাবপত্র ভাংচুর ও আলমারি ভেঙে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ লুটপাট করে এবং কর্মচারীদের উপর হামলা করলে অনেকেই আহত হয়।

হামলা করে স্থানীয় মানুষ জনের সামনেই
হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তাদের অতর্কিত আক্রমণে ইন্টারনেট ও ডিস সেবা সাথে সাথেই বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়ে হাজারো গ্রাহক।

জানা যায়, এলাকায় ডিস ব্যবসা ইন্টারনেট ব্যবসা দখলের পায়তারা থেকেই উক্ত পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। আক্রমণকারীদের মধ্যে আলোচিত সাগর ও সোহেল হত্যা সহ একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী
সিরাজুল ইসলাম সাফাক অন্যতম প্রধান ভূমিকা রাখে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বিক্রী করার একাধিক অভিযোগ আছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং এর পৃষ্ঠপোষকতার জন্য র্যার-২ এর কাছে স্থানীয়রা একাধিক অভিযোগ করেছেন।

এই পরিকল্পিত হামলার সাথে জড়িত আরেক জন
ইয়াফেজ সামি,যিনি হাজারীবাগ থানার ১৪ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি। এলাকার তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদাবাজী, অবৈধভাবে দোকানপাট বসানো সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বাবু হাওলাদার ভাংচুর ও হামলার সাথে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয়রা জানান, এরা সবাই এলাকার চিন্হিত সন্ত্রাসী এবং স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
(হত্যা ও ডাকাতি সহ একাধিক মাদক মামলার আসামি সিরাজুল ইসলাম সাফাক), ১৪ ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইয়াফেজ আহাম্মেদ সামি, বাবু হাওলাদার সহ ৭০/৮০ জন সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।

এই সংবাদ লেখার আগে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের মুঠোফোনেও কল দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে।

এই ঘটনাটি রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় এলাকায় ঘটনা ঘটায় গণমাধ্যম কর্মীরা হাজারীবাগ থানায় যোগাযোগ করলে হাজারীবাগ থানার ওসি মুঠোফোন বলেন, ভাংচুরের ঘটনার কথা শুনে আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, অফিসের দরজায় তালা ছিল বলে ভেতরে কি পরিমান ভাংচুর হয়েছে জানি না। আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

তবে এই ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, ইন্টারনেট ও ডিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে একদল সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে অবৈধ ভাবে দখল করেছে রেখেছে।