ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে টাইগাররা যেন নিজেদের ফিরে পেয়েছেন। টসে হেরে আগে ব্যাট করে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ-লিটনরা। শুরুতেই এসে ঝড় তুলেছিলেন লিটন দাস। তিনি আউট হয়ে গেলেও মাহমুদউল্লাহ ঝড়ে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে নির্ধারিত ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয় ১৭৫ রান করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ছয় রানে মোসাদ্দেক ও শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম।
প্রথম ওভারে বাংলাদেশ মাত্র এক রান করতে পারে। এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েও বেঁচে যান লিটন দাস। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে ঝড়ের আভাস দেন এই ওপেনার। সেই ঝড় থামে ২২ বলে ৩৮ রান করার পর।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মুশফিকুর রহিম ফিরে পেয়েছেন নিজেকে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩২ রান।
ব্যাট হাতে বিশ্বকাপে দারুণ সময় কাটালেও ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যর্থ সাকিব। তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২৬ রান। সর্বোচ্চ করেছিলেন ১৫ রান। আজ আউট হয়েছেন মাত্র ১০ রান করে।
মাত্র দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার। কিন্তু রাঙাতে পারেননি। ৯ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন আজ আউট হয়েছেন মাত্র সাত রান করে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন জার্ভিস। এ ছাড়া এম্পফু দুটি ও একটি করে উইকেট নেন বার্ল ও মাতুমবুডজি।
এক ম্যাচে জয় ও এক ম্যাচে হার নিয়ে ঘরের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই টাইগাররা। তবে মাসাকাদজা-টেইলরদের বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত ফাইনাল, আর হারলে মুখোমুখি হতে হবে জটিল সমীকরণের।
প্রথম দুই ম্যাচের পর একাদশ থেকে সাব্বিরসহ তিনজনকে বাদ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাব্বিরের সঙ্গে আরও জায়গা হারিয়েছেন সৌম্য ও তাইজুল। সৌম্যকে অবশ্য স্কোয়াড থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। একাদশে জাইয়গা পেয়েছেন শফিউল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও আমিনুল ইসলাম বিল্পব। শান্ত-বিপ্লবের অভিষেক হয়েছে আজ।