চ্যনেল আই এর ইসলামবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘কাফেলা’র উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন আগামী ৫ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে জেএমবি সদস্য তরিকুল ইসলাম মিঠু ও আলেক ব্যাপারী এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল পিস টিভির ইসলামি অনুষ্ঠানের বক্তা মোজাফফর বিন মহসীনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জামায়াতের রোকন তারেক মনোয়ারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ফারুকীর স্বজনরা।
ওই মামলার অপর পাঁচ আসামিরা হলেন, নরসিংদী জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর কামাল উদ্দিন জাফরী, দিগন্ত ও পিস টিভির উপস্থাপক কাজী ইব্রাহীম, এটিএন বাংলার ইসলামি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আরকানুল্লাহ হারুনী, আরটিভি ও রেডিও টুডের ইসলামী উপস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ বখশী ও বাংলা ভিশনের কোরআনের আলো অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মুখতার আহমদ।
২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ১৭৪ পূর্ব রাজাবাজারের দোতলা বাসায় মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রাতেই তার হাত বাঁধা গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মাওলানা ফারুকীর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটিকে প্রথমে ডাকাতি বলে সন্দেহ করলেও তার অনুসারীরা বিষয়টিকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন। মিলাদ, কেরাত ও মাজারের বিরোধিতাকারীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হজের ব্যাপারে কথা বলতে দুই যুবক মাওলানা ফারুকীর কাছে তার বাসায় যান। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর তারা নিচে থাকা আরও তিনজনকে ওপরে আনার অনুমতি চান। তিনি অনুমতি দিলে আরও তিনজন তার বাসায় আসে।
কিছুক্ষণ পর মাওলানা ফারুকীর কাছে ওই পাঁচজন ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ঘরে টাকা নেই জানাতেই তারা গুলি ও চাপাতির ভয় দেখিয়ে তাকে ড্রয়িংরুমে রেখে পুরুষ ও নারীদের অন্য কক্ষে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে তারা চলে গেলে বাসার লোকজন ডাইনিং টেবিলে হাত বাঁধা অবস্থায় ফারুকীর গলাকাটা লাশ দেখতে পান। তার হত্যাকাণ্ডে পুরো স্তম্তিত হয়ে পড়ে তার অনুসারীরা।