২০১৭ সালে ভারতের বিভিন্ন স্থানে নারীদের যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি)। এতে দেখা যায়, ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে ভারতে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের ওপর হওয়া অপরাধে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তবে উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে ৫৬ হাজার ১১টি, মহারাষ্ট্রে ৩১ হাজার ৯শ ৭৯টি এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩০ হাজার ৯শ ৯২টি অপরাধে রেকর্ড করা হয়েছে।
এনসিআরবি-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রত্যেক ৫ মিনিটে একজন গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। প্রত্যেক ১৬ মিনিটে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের শিকার হন নারীরা। প্রতি ২ ঘণ্টায় একজন নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটছে।
এর পাশাপাশি আড়াই দিনে একজনের অ্যাসিড হামলার শিকার এবং প্রতি ১ ঘণ্টা ৭ মিনিটে পণের জন্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ওই সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ১৮ থেকে ৩০ বছরের নারীরা সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের শিকার হন। ২০১৭ সালে দেশজুড়ে ৩২ হাজার ৫৫৯টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে ৩০ হাজার ২৯৯টি ঘটনাতেই ধর্ষক ব্যক্তি ধর্ষিতার নিকটাত্মীয়, বন্ধু বা পরিবারেরই লোক।
২ বছর পর গত মঙ্গলবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। মোট ধর্ষণের মামলার ৯৩ দশমিক ১ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ধর্ষক ধর্ষিতা নারীর পূর্বপরিচিত। ৩০ হাজার ২৯৯টি ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধী নিকটাত্মীয়, তিন হাজার ১৫৫টি ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক পরিবারের মানুষ বা একই বাড়িতেই থাকেন। ১৬ হাজার ৫৯১ ক্ষেত্রে ধর্ষক আত্মীয়, বন্ধু, পরিচালক, অফিসের বস, প্রতিবেশী বা অন্য পরিচিত কোনও ব্যক্তি। ১০ হাজার ৫৫৩টি কেসে অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্ষিতার বন্ধু, অনলাইনে আলাপ হওয়া ব্যক্তি, লিভ-ইন পার্টনার বা বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া স্বামী।