মটরশুঁটি শীতের অন্যতম খাবার। পুষ্টিবিদের মতে, এই সব্জি ব্যবহার করা যায় সব রকমের পদে। যেকোনো সালাদেও এর ব্যবহার রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতেও কম যায় না মটরশুঁটি। মাছ বা মাংসের থেকে যে প্রোটিনের জোগান পাওয়া যায়, সেই প্রোটিনই পাওয়া যায় এক বাটি মটরশুঁটি থেকে। এর নানা উপকার সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস
মটরশুঁটির অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, মটরশুঁটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি হিসাবে কাজ করে। এর প্রভাব ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিশ্লেষণ করা হয়েছে, অন্ত্রের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে কালো মটরশুঁটিতে।
প্রোটিনের উৎস
প্রোটিন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা শরীরের সমস্ত কাজে মূল ভূমিকা পালন করে। মটরশুঁটির মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা কিনা প্রোটিনের বিল্ডিং ব্লক। এটা নিরামিষাশীদের জন্য প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস হিসেবে কাজ করে। দুগ্ধজাত পণ্যের মতো অন্যান্য কিছু ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ প্রোটিনের তুলনায় উপকারি।
ডায়াবেটিস
মটরশুঁটি রক্তে গ্লুকোজের স্তর স্থিতিশীল করতে বা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। এতে ফাইবার বেশি থাকে, যা রক্তের গ্লুকোজ হ্রাস করতে সহায়তা করে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
মটরশুঁটি খাওয়া ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য সমস্যায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোর মধ্যে একটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এক বিশ্লেষণে মটরশুঁটির পুষ্টি উপাদান এবং করোনারি হার্টের অসুখের ঝুঁকি হ্রাসের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সম্পর্কের কথা বলা হয়। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, মটরশুঁটি দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নতি
গবেষণায় বিভিন্ন মটরশুঁটি, বিশেষত কালো মটরশুঁটি অন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করে এবং স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এটি অন্ত্রের সম্পর্কিত রোগগুলো প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে