ভারতের দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন শিশুসহ ২ শতাধিক। 

পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দিল্লির জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ ও কারাবাল নগরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এসব এলাকায় বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

ভারতের নয়াদিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত রবিবার থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। মঙ্গলবার রাতে সেই অশান্তি পূর্ব দিল্লিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারীরা। পরে, রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে জলকামান নিক্ষেপ করে।

পরিস্থিতি সামলাতে গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদেও ১৪৪ ধারা জারি হয়। পাশপাশি জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ, কারওয়াল নগরে কার্ফু জারি করে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

সংঘর্ষের জেরে টানা তিনদিন ধরে বন্ধ উত্তর-পূর্ব দিল্লির পাঁচটি মেট্রো স্টেশন। সংঘর্ষের ছবি না দেখানোর পরামর্শ দেয়া হয় বেসরকারি চ্যানেলগুলোকে। তবে, থেমে নেই সংঘর্ষ। এদিকে, ৩ দিন ধরে চলা সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা প্রায় ২শ’।  এরমধ্যে ৭০জনই গুলিবিদ্ধ।

এদিকে, মঙ্গলবার গভীর রাতে এক শুনানিতে আহতদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধাসহ হাসপাতালে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন দিল্লি হাইকোর্ট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার তিন দফা বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

সূত্র : দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়া