বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আঘাত হেনেছে করোনাভাইরাস। সংক্রমণের আশঙ্কায় বিশ্ব জুড়ে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক ক্রীড়া ইভেন্ট। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এ মাসের ২৯ তারিখ থেকে । কিন্তু নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এ টুর্নামেন্ট শুরু হবে কিনা কিংবা রূদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হবে কিনা এখনো তা নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে আগামী শনিবার বেঠকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে বোর্ডের এক সিনিয়র কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দর্শক ছাড়াই আইপিএল সঠিক সময়ে শুরু করতে আগ্রহী। যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র টিভিতেই আইপিএল দেখতে হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। কারণ এটি মেডিকেল রিপোর্টের সিদ্বান্ত ও এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।’

এমনকি শুরুর আগেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবারের আইপিএল। তবে বাতিল না করে পরবর্তীতে উপযুক্ত সময়ে আয়োজনের চিন্তা রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ধনী এইটি-টোয়েন্টি লিগের। এএফপিকে এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন ঐ কর্মকর্তা। আগামী ২৯ মার্চ থেকে শুরু হবার কথা আইপিএলের।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ইতোমধ্যে আসন্ন আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের প্রাইজমানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। তারা চাইছে, সঠিক সময়েই আইপিএল শুরু করতে। কিন্তু ওই কর্মকর্তা বলছেন, সরকারের নিদের্শ অনুসারে চলতে হবে। দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশ্বের একশরও বেশি দেশে এটি আক্রমণ করেছে। আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এটিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ভারত ভ্রমনের বিষয়ে নিদের্শনা জারি করেছে ভারতীয় হাই কমিশন। তাই ভিসা না পেলে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসের মত তারকা খেলোয়াড়দের আইপিএলে খেলার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ওই কর্মকর্তাও বিশ্বাস ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও ভারতের মাটিতে ঠিকই অন্য খেলা চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে ভারত। সম্প্রতি ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচেরটি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান। তিনি জানান, ‘অবশ্যই আমরা চাই খেলোয়াড় ও ক্রিকেটপ্রেমিরা নিরাপদ থাকুক। লিগ চালিয়ে যেতে সকল ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করা হবে।’

মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে নিদের্শ দিয়েছে, চেন্নাই সুপার কিংসের সাথে লিগের প্রথম ম্যাচের টিকিট বিক্রিতে যেন বিলম্বিত করে। দর্শক ছাড়াই সকল ম্যাচ আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে মহারাষ্ট্র। ইউরোপিয়ান ফুটবলে যেমনটি করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে বলেন, ‘আইপিএলের চাইতে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।’