করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে এখনও স্কুল কলেজ বন্ধ করার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্কুল কলেজ বন্ধের কথা উঠেছে। সরকার করোনা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা নেই তা নয়। সে রকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের আগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের ১২৮টি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বৃটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী, অষ্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চায়নার যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো তারা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুতির কোন ঘাটতি নেই। আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইটালি থেকে বহন করে আনা যে তিন জন আক্রান্ত ধরা পড়েছিল তারা এখন সুস্থ হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকারের উপর আস্থা রাখুন। প্রতিনিয়তই সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রস্ততি নিচ্ছি, করোনা ভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতিও নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত যে যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাব দিয়েছে তাতে বাংলাদেশ রাজি আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সব বিষয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপানোর কৌশলের রাজনীতি করছে। করোনার মতো রাজনৈতিক ভাইরাস বিএনপির অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। তাদের উচিত আগে নিজেদের ঘরের করোনা দূর করা। সরকারকে দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করা।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।