জেনারেটর বিস্ফোরণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাঙামাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপায় অবস্থিত বন বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের একাধিক ভবন। সকালে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর দিয়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ জেনারেটরটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সৃষ্ট আগুন অফিস ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, যুব রেডক্রিসেন্টসহ স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন যতক্ষণে নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে পুরো ছাই হয়ে গেছে বন বিভাগের দক্ষিণ বন বিভাগ, উত্তর বন বিভাগ, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ ও অশ্রেণিভুক্ত বন বিভাগের প্রধান কার্যালয়। এই বিভাগগুলোর প্রধান কার্যালয় বনরূপায় একই ভবনে অবস্থিত।
সাপ্তাহিক ছুটির পর রবিবার সকালে অফিসে আসেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চালু করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই সকাল সাড়ে ৯টায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর সাড়ে ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম শাহ্ জানিয়েছেন, সকালে জেনারেটর রুম থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডে আমাদের বন বিভাগের প্রায় সব নথি পুড়ে গেছে। আমরা একটি কমিটি করে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতি নিরূপণ করার চেষ্টা করব।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা জানিয়েছেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি। এখন বন বিভাগের সাথে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করব। তবে প্রাথমিকভাবে জেনারেটর দুর্ঘটনাতেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে মনে হয়েছে।
রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানিয়েছেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুসারে জেনারেটর দুর্ঘটনায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আমরা দেখেছি তাদের সকল প্রকার অফিসিয়াল নথি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন তারা একটি তদন্ত কমিটি করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। এই কমিটির তদন্তের পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।