নিউজ ডেক্স

তুর্কী সরকার, তাদের আটকা পড়া উমরাহজ্ব যাত্রীদেরকে বিশেষ বিমানে জেদ্দা থেকে নিয়ে গেছে।
আমাদের বাংলাদেশী অনেক উমরাহজ্ব যাত্রী জেদ্দায় আটকা পড়ে আছে। তাদের থাকা খাওয়া অনেক সমস্যা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আহব্বান, সৌদি সরকার ও জেদ্দা বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসে যোগাযোগ করে তাদের থাকা খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্হা করার অনুরোধ করছি। প্রয়োজনে তাদেরকে বিশেষ বিমানে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হউক।

সৌদি আরবে আটকে আছে ৫৭ বাংলাদেশী ওমরাহ হজ্ব যাত্রী

বাংলাদেশ থেকে গত ফেব্রুয়ারী মাসে সৌদি আরবে ওমরাহ হজ্ব পালন করতে আসা বাংলাদেশী ৫৭ জন ওমরাহ হজ্বযাত্রী জেদ্দাসহ বিভিন্ন যায়গায় আটকে আছে। তাদের মধ্যে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্ধার থেকে আসা ২২জন ওমরাহ হজ্ব যাত্রী গত ২৬/২/২০ইং সৌদি এয়ারলাইনসের sv 802 ফ্লাইটে ওমরাহ হজ্ব পালন করতে যায়। তাদের গত ১৪/৩/২০ইং সৌদি এয়ারলাইনসের sv 802 ফিরতি ফ্লাইট ছিল। কিন্তু শরীকা মক্কা থেকে ১০/৩/২০ইং জানানো হয় ফ্লাইটটি ১৪/৩/২ইং এর পরিবর্তে ১৫/৩/২০ইং সৌদি সময় বিকাল ৩.৩০ মিনিট ফ্লাইট দেয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৫/৩/২০ইং সকাল ১০টায় জেদ্দা এয়ারপোর্টে উপস্থিত হলে তাদের দুপুর ১২টায় মাল বুকিং দিতে বললে তারা মাল বুকিং দিতে ভিতরে প্রবেশ করলে জানানো হয় ফ্লাইটটি বাতিল। তৎক্ষনাৎ ওজারাতুল হজ্বকে বিষয়টা জানালে তারা ১৭/৩/২০ ইং সৌদি সময় রাত ৩.৩০ মিনিট sv 808 সৌদি এয়ারলাইনসের একটি টিকিট ইস্যু করে তাদেরকে একটি হোটেলে পাঠানো হয়। ১৬/৩/২০ইং বিকালে ওজারাতুল হজ্ব এর পক্ষ থেকে জানানো হয় রাতের sv808 সহ সকল ফ্লাইট বাতিল। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে জানানো হয় সৌদি সময় ১৭/৩/২০ইং সকাল ৭.৩০ মি. বিমান বাংলাদেশ এর একটি ফ্লাইট আসবে। সাথে সাথে জেদ্দাস্থ নাখেল সেন্টার অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। জানাগেছে বাংলাদেশ টাকায় প্রায় ৩৫০০০/= করে টিকিট কেটে কিছু ওমরাহ হজ্বযাত্রী ও আকামাদারীদের নিয়ে ফ।লাইটটি বাংলাদেশে পৌঁছে। এর পর থেকে আর কোন ফ্লাইট না থাকায় তারা বিভিন্ন স্থানে আটকে যায়। ওজারাতুল হজ্ব কোম্পানি থাকার জন্য হোটেল ব্যাবস্থা করলেও তাদের অনেকটা কষ্টের মাঝেই সেখানে থাকতে হচ্ছে। ২২জনকে ৪টি রুম দেয়া হয়। খাবারের কোন ব্যাবস্থা নেই। বাংলাদেশি মোয়াল্লিম মাওলানা মাইনুদ্দীন সরকার জানান, জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বাসীর কাউন্সিলর মাকসুদ সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হজ্ব বিষয়ক কর্মকর্তা হাসান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সকল তথ্যাদি নেন এবং এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।কিন্তু অদ্যবদি তাদের কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। ওমরাহ হজ্বযাত্রী কাঠ ব্যাবসায়ী বাবুল মিয়া জানান, তার ৩ বছরের শিশু সন্তান রেখে স্বামী -স্ত্রী ওমরাহ করতে আসেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় এবং বৈশ্বিক করোনার প্রকোপে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়।
৮০ বছরের বৃদ্ধ ওমরাহ হজ্ব যাত্রী জারু মিয়া জানান, আমি জমি বিক্রি করে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা নিয়ে এসেছি। ফেরার পথে ফ্লাইটটি বাতিল হওয়ায় খাবারসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। সাথে কোন টাকা পয়সা না থাকায় অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

৯০ বছরের বৃদ্ধ ওমরাহ হজ্বযাত্রী বাদশা মিয়া মোল্লা জানান, তিনি বয়স্ক মানুষ। শারিরীক ভাবে অসুস্থ। থাকা,খাওয়া ও চিকিৎসার অভাবে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
৮০ বছরের বৃদ্ধা ওমরাহ হজ্ব যাত্রী আয়ফলেরন্নেসা জানান, তিনি হাইপ্রেশারের রোগী। সাথে কোন টাকা পয়সা ও নেই। ফ্লাইট নিয়ে অনিশ্চয়তার কারনে প্রায় সময় প্রেসার বেড়ে যায়। অন্যান্য দেশের সরকার তাদের ওমরাহ হজ্বযাত্রীদের নিজ দেশে নিয়ে গেলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ না থাকায় তাদের পড়তে হয়েছে নানা বিপাকে।এমতাবস্থায় তারা জরুরী ভিত্তিতে মানবিক দিক বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যাতে অতিদ্রুত তাদের নিজ গন্তব্যে পৌছানোর ব্যাবস্থা করা হয়।

মাইনুদ্দিন,বাংলাদশী – 0576104596 সাথের মোয়াল্লিম
সাইফুল ইসলাম (শহীদ) – 056 838 5279 উমরাহজ্ব যাত্রী

ধন্যবাদ
রনি মোস্তফা
জিদ্দা, সৌদিআরব