নিজস্ব প্রতিবেদক:
নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া ও আপত্তিকর প্রশ্ন করায় ফেনীর সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে রাফিকে হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম। ওইদিন আদালত এর ওপর শুনানি না নিয়ে আজকের দিন ধার্য করেন।
আজ আদালত শুনানি শেষে মাকসুদ আলমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাকসুদ আলমের ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারক শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে মাকসুদ আলমকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মাকসুদ সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
তিনি নিহত নুসরাতের মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। পাশাপাশি মাকসুদ নুসরাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পরে গুরুতর অবস্থায় ওইদিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২৭ মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা।
গত রোববার নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে দেওয়া শেষ জবানবন্দিতে বলেছিলেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরা চারজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই চারজনের একজনের নাম শম্পা।
এদিকে নুসরাত হত্যার ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলায় অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।