এসএম জীবন
২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে “জার্নালিষ্ট হেল্প সেন্টার” (জেএইচসি) এর উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও পেশাদার সাংবাদিকদের মাঝে সম্মানী সরূপ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হিরন্ময় বারুরী, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন), পল্টন থানা। “জার্নালিষ্ট হেল্প সেন্টার” এর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পুলিশ পরিদর্শক বলেন, তথ্য সংগ্রহ সহ রাস্ট্র ও জনগণের কল্যাণের স্বার্থে সাংবাদিকদের যেকোন সহযোগিতা করবে পল্টন থানা পুলিশ। সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কাজগুলো তুলে ধরে গুজব প্রতিরোধে সরকারকে সহযোগিতায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
“জার্নালিষ্ট হেল্প সেন্টার” (জেএইচসি) এর চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আতাউল্লাহ খান ও সাংবাদিক ছলিম উল্লাসহ আরো অনেকে। সহযোগিতায় ছিলেন, নুরুল্লাহ আল-আমিন, হাবিবুর রহমান, ফরিদ ও ফারদিন।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের বিষয় সাংবাদিক কর্মী বান্ধব “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” (জেএইচসি) এর মহাসচিব এস এম জীবন বলেন, সাংবাদিকরা হলেন রাস্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ তাই পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধসহ সরকারের উচিত জরুরি প্রণোদনা ঘোষণা করে সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়ানোর। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সাংবাদিকেরা জনগণ, রাস্ট্র ও সরকারের খবর রাখলেও, সাংবাদিকদের খবর কেউ রাখেনা।
বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকার লকডাউন করে দেন। এ অবস্থায় দেশের সকল স্থানে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি দেশের গনমাধ্যম কর্মীরাও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রচার প্রচারনায় নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের এ অবস্থায় সরকারি স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও পুলিশ বেতন পেলেও দেশের সাংবাদিকরা বেতনতো পাচ্ছেনই না বরং এ সময়ও সরকারের সহযোগীতা থেকে বঞ্চিত থেকেই যাচ্ছেন। দেশের এরকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের প্রধান মৌলিক চাহিদা থেকে তারা বঞ্চিত। চাহিদা পুরনেও হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেক সাংবাদিক পরিবারকে। একদিকে সরকার কতৃক ঘরে অবস্থান করা সহ সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে গরীবদের মাঝে ত্রান বিতরন করা হচ্ছে। অপরদিকে দেশের চতুর্থ স্তম্ভে থাকা সাংবাদিক লকডাউন দেশে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশে গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করলেও সরকারি সহায়তার বাহিরেই থেকে সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি কামনা করেন।
“জার্নালিষ্ট হেল্প সেন্টার” এর চেয়ারম্যান ও ইফতার সামগ্রী বিতরণে সভাপতি আজগর আলি মানিক বলেন, সকল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে সাংবাদিকদের সকল সংগঠন গুলো ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার”এর পাশে থেকে সকলের সহযোগিতা কামনা করে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দূরারোগ্য কামনা সহ মৃত ব্যাক্তিদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা শেষে প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।