নিখোঁজ ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে চিত্রসাংবাদিক কাজলকে মামলা দিয়ে শনিবার গভীর রাতে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।
বেনাপোল সীমান্তের সাদিপুরের একটি মাঠের মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল।
রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার আশেক আলী চিত্রসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাকে রাতে বিজিবির টহল দলের সদস্যরা সাদিপুর সীমান্তের একটি মাঠের মধ্য থেকে উদ্ধার করে। অবৈধভাবে ভারত থেকে আসার সময় তাকে আটক দেখানো হয়। রাতে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিত্রসাংবাদিক শফিকুল কাজলকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পারাপারের অভিযোগে বিজিবি একটি মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে যশোর আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে কাজলের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়নও নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফোনে কাজলের সঙ্গে কথা হয়েছে। বেনাপোল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই খবর পেয়ে রাতেই স্বজনরা তাকে নিতে বেনাপোলের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছেন।
চিত্রসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় পক্ষকাল অফিস থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তার কোনও সন্ধান না পেয়ে পরদিন ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
তবে নিখোঁজের ঠিক ৩০তম দিনে (৯ এপ্রিল) সাংবাদিক কাজলের ফোন নম্বরটি বেনাপোলেই চালু হয়েছিল। তখন কাজল নিখোঁজের বিষয়টির তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আবদুল লোকমান বলেছিলেন, নিখোঁজ সাংবাদিক কাজলের ফোন নম্বরটি চালু হয়েছিল। লোকেশন দেখিয়েছে বেনাপোল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই নম্বরটি চালু থাকার সময় কম হওয়ায় বেনাপোলে কোনো অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।