কলকাতার একটি টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে আলোচনায় আসেন সঙ্গীত শিল্পী মাইনুল হাসান নোবেল। সেই সময়ে দেশের অনেক মানুষই তাকে সাপোর্ট দিয়েছিলেন। ভোট দিয়েছিলেন জেতানোর জন্য। কিন্তু জনপ্রিয়তার সেই অধ্যায় ফেলে এসেছেন নোবেল। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগামহীন মন্তব্যের কারণে ভিন্নভাবে আলোচনায় তিনি। জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।
এবার খবর বেরিয়েছে, গোপনে বিয়ে করেছেন তিনি। স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। নিকেতনের একটি ফ্ল্যাটে থাকছেন তারা। সূত্র জানিয়েছে, নোবেলের তৃতীয় স্ত্রী সালসাবিল। প্রথম স্ত্রী রিমি ডিভোর্স দিয়ে চলে যাওয়ার পর আরেকটি বিয়ে করেছিলেন নোবেল। সে বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্ত্রী সালসাবিলকে নিয়মিতই মারধর করেন। এবিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অমি হাসান পিয়াল একটি স্ট্যাটাসও দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘…গত কয়দিন ধইরা সে যে আবলামী করছে গানের প্রমোশনের নামে, সেইজন্য র্যাব ডাইকা তারে ধাতানি দিছে, সেও অনলাইনে আইসা সানাই স্টাইলে স্যরি কইছে। কাহিনী এইখানেই খতম দিলে ভালো হইতো, কারণ ওর মতো একটা স্টুপিডরে নিয়া কোনো পোস্ট লেখার মানে নাই। কিন্তু ঘটনা যা জানি তাতে বুঝলাম ও আসলে অল্পতেই পার পাইয়া গেলো। বুকপিঠ নাই একটা পোলা যার একমাত্র সম্বল বাংলা ব্যান্ডের দিকপালগো গানের কাভার গাওয়া, যারে জি বাংলা রাখছিলোই খালি এই বাংলার থিকা টিআরপি বাড়াইতে- তারে নিয়া দুই লাইন লেখা মানে সময় নষ্ট। কিন্তু জি বাংলা আসলে যে ক্ষতিটা করছে তা তারা নিজেরাও জানে না। জানে না বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ, যারা আসলে দেশরে ভালোবাইসাই নোবেলরে ভোট দিয়া গেছে। এইটারে সে নিজের যোগ্যতা ভাইবা এমন পর্যায়ে গেছে যে নিজের মা-বোনরেও সে পুছে না। দুই সপ্তাহ আগে সে নিজের মা-বোনরে রাত একটার সময় ঘর থেকে বের করে দিছে রাস্তায়। পরে পুলিশ আইসা সামাল দিছে। এইটা তো তার নিজের মা বোন, কিন্তু যে মেয়েটা তার জন্য ঘর ছাড়লো তার কি অবস্থা? জি বাংলার সেলিব্রেটির প্রেমে সে পরিবারের কাছে ত্যাজ্য হইয়া আসলো। তারে নিয়ম কইরা তিন বেলা পেটায় আমাদের সুপারস্টার সিঙ্গার। একদম মানুষ যেমন তিন বেলা খাবার খায়, আমাগো গায়ক তিন বেলা তার বউ পিটায় তার ত্যাগের সম্মানে। তো এই হইলো অবস্থা। এরে নিয়া লেখার জন্যও আমি দুঃখিত। আসলে মেয়েটার জন্য মায়া লাগলো….।’
নোবেল যদিও নানা বিষয়ে বিতর্কিত ছিলেন, তবুও বড় তীরটা ছোঁড়েন জাতীয় ‘সংগীত পরিবর্তন’ এর মত দিয়ে। এরপর প্রেমিকা কর্তৃক নিজের নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়া নিয়েও নোবেলকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছিলো নোবেলের বিরুদ্ধে। অবশ্য এ বিষয়ে মামলা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীদের ‘হেয়’ করে মন্তব্য করেন নোবেল। পরে এ নিয়ে বিভিন্নজনের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। র্যাবও তাকে ডেকে নেয়। যেখানে তিনি বলেন, নিজের আসন্ন গান ‘তামাশা’র প্রচারে এমনটা করেছেন। এ যাত্রায় ক্ষমা চেয়ে র্যাবের কাছে লিখিত দিয়ে আসেন তিনি।