প্রতিবেদক
ফেনী ফাজিলপুরের বাবর মেম্বারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা। মামলা না করতে বন্দুক তাক করে বাদীকে হুমকি।
সদর প্রতিনিধিঃ ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড শিবপুরের মাহমুদুর নবী বাবরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বাহার উদ্দিন দম্পতিকে মারধোর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন বাদী বাহার উদ্দিন। ফেনী মডেল থানার মামলা নং ৯৬৩।
মামলা সূত্রে জানা যায়,বাদী বাহার উদ্দিনের বাড়ী সংলগ্ন অনিক নামীয় ব্যক্তি চট্রগ্রাম থেকে বাড়ী এলে তাকে প্রশাসনের নির্দেশে ইউপি বোর্ড লক ডাউন ঘোষনা করে। করোনা ভাইরাস হতে আত্মরক্ষার জন্য বাদী তার বসতঘরের সাথে থাকা ব্যক্তিগত রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়। এতে বাবর মেম্বার ক্ষেপে গিয়ে বাদীর বাড়ীতে এসে বিশ্রী ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। ইফতারের আগ মূহুর্তে এধরনের গালাগালের হেতু জানতে চাইলে বাবর ও তার ভাই স্বপন বাদীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে বেদড়ক মারধোর করতে থাকে। বাদী বাহার উদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা বানু ও তাদের ছেলে মেয়ে এগিয়ে এলে তাদেরকে এলোপাতাড়ী মারধোর করে মারাত্মক জখম করে। একপর্যায়ে বাবর তার ঘর থেকে একনলা বন্দুক এনে বাহার দম্পতির দিকে তাক করে বলে যা হয়েছে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি বা মামলা করলে জানে মেরে ফেলবো। বাদীর অভিযোগ ঘটনার সময় আক্রমনকারী বাবর ও তার ভাই স্বপন শারিরীক প্রতিবন্ধী ফরিদা বানুর স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সত্তর হাজার টাকা।
কে এই বাবর? শিবপুরের মৃত এছাকের নয় সন্তানের একজন বাবর। একসময় জাসদ, পরে জাতীয় পার্টি হালে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী বাবর। বাবরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিবপুরের মানুষ। হেন কোন কাজ নাই, যা বাবর মেম্বার করেনা। তার গোত্রের সন্ত্রাসী প্রকৃতির ৫/৬ জন লোকের ভয়ে সাধারন মানুষ মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনা। লম্পট প্রকৃতির বাবর ও তার ভাই সাজুর চোখ পড়ে নীরিহ টমটম চালক দেলোয়ার হোসেন লিটনের সুন্দরী স্ত্রী খালেদা বেগমের উপর। লিটনের অবর্তমানে পালা করে দু,ভাই লিটনের ঘরে আড্ডা জমায়। ইয়াবাসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে। এদের কিছু বলা যায়না। ভয়* ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে লিটনের কাছে চাঁদা দাবী করে বাবর। টাকা দিতে না পারায় জোর করে লিটনের টমটম নিয়ে যায় বাবর। এব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা ও ডিজিএফ কার্ড কেলেংকারীসহ হালের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। শিবপুরে নতুন রাস্তা নির্মাণের সময় ব্যাপক চাঁদাবাজি করার অভিযোগ আছে বাবরের বিরুদ্ধে। যারা চাহিদামত টাকা দিয়েছে, তাদের জমিনের উপর দিয়ে রাস্তা যায়নি। আর যারা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে, বেচে বেচে তাদের জমিনগুলোর উপর দিয়ে এঁকে বেঁকে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ বাবরের বিরুদ্ধে।
এলাকায় সন্ত্রাসী লালন ও চুরি ডাকাতি বাবরের ইন্ধন ছাড়া হয়না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বহু মানুষের মন্তব্য।
গিরীঙ্গীপনায় সিদ্ধহস্ত বাবর। আয়েশা বেগমের ভাগের দখলীয় পৈতৃক সম্পত্তি অন্যায় ভাবে জবর দখলে বাবর কলনাড়ি চালাচ্ছে। বাবরের নির্দেশে ফটিক ও নবী গং তার গাছ ও বাঁশঝাড় কেটে নিয়ে গেছে। আয়েশার স্বামী মোঃ রফিক ঘটনাস্হলে গেলে তাকে মারধোর করা হয়। এব্যাপারে ফেনী মডেল থানায় আরেকটি মামলা হয়। মামলা নং-৮৮৩। এলাকায় বেআইনি সূধের কারবারী হিসাবে তাদের খ্যাতি রয়েছে।
বাবরের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,এগুলো ভূয়া ও ভীত্তিহীন। আমার চরিত্র হননের অপচেষ্টায় কিছু ব্যক্তি এসব রটাচ্ছে।
বাহার এর সেজো ভাই সাবেক প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন তিনি চাকরি অবসর হয়ার পর থেকে চট্টগ্রামে থাকে এবং বাবর মেম্বার তাহার বসত ঘরের পিছনে ৫০ বছর এর দখলীয় জায়গার উপর আনুমানিক ১০০০০০ টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছে ঘরের পিছনে ৪ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে জয়নাল আবেদীন তিনি এর কারণ জানতে গেলে চেয়ারম্যান এর কাছে এর প্রতিকার চাইলে বাবর মেম্বার তাকে হুমকি ধমকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়াও বাদী বাহার মিয়ার বড় ভাই এর ১ ডিসিম ৫ নাম্বার ভাই জীবন এর ২ ডিসিম এবং সব ভাই এর পুকুরের পাড় বাদ দিয়া বাকি জায়গা রাস্তার জন্য রাখা হয়েছিল কিন্তু জালিম বাবর মেম্বার উক্ত চলাচল এর রাস্তা বন্ধ করে তাহার উপর তার ঘর তৈরী করে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে। এভাবে বছর এরপর বছর গ্রাম বাসীর উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে এই কুখ্যাত বাবর মেম্বার।
সূত্র: ফেনীর ক ণ্ঠ স্ব র।