সানাউল্লাহ, দোহা(কাতার)প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসের কারণে থেমে থাকা জীবনযাত্রার এই কাতারে কবে ফিরবে স্বাভাবিক জনজীবন, সে প্রশ্নের উত্তর মিলেছে গতকাল। আগামী সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হবে বিভিন্ন বিধিনিষেধ।

পরিস্থিতি যত স্বাভাবিক ও নিরাপদ হতে থাকবে, ততই সহজ করা হবে জনজীবন। এর ফলে ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসের স্থবিরতা থেকে মুক্তি পাবেন কাতারবাসী।

রাজধানী দোহায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে চারটি ধাপের সরকারি পরিকল্পনা। এটি তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মুখপাত্র লুলুয়া আলখাতের।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক এক নজরে-

প্রথম ধাপ: ১৫ জুন থেকে
সীমিত আকারে কিছু মসজিদ খুলে দেওয়া হবে (জুমার নামাজ ছাড়া)।

বিভিন্ন শপিং মলে ৩০০ মিটার আয়তনের চেয়ে বড় দোকান খোলা হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: ১ জুলাই থেকে
১০ জনের কমসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি শুরু হবে।

সীমিত আকারে আরও কিছুসংখ্যক মসজিদ খুলে দেওয়া হবে (জুমার নামাজ ছাড়া)।

দোহা থেকে প্রয়োজনীয় ফ্লাইট পরিচালিত হবে। যারা কাতার ত্যাগ করবেন, তারা ফিরে আসার পর ১৪ দিনের জন্য সরকার নির্ধাতির আবাসিক হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন নিজেদের খরচে।

সব শপিং মল খুলে দেওয়া হবে সীমিত পরিসরে এবং সীমিত সময়ের জন্য। সব সুক ও পাইকারি বাজারও সীমিত আকারে নির্ধারিত সময়ের জন্য খোলা থাকবে।

পর্যায়ক্রমে অল্পসংখ্যক ক্রেতা ধারণ ক্ষমতার রেস্টুরেন্ট খুলে দেওয়া হবে।

সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা হবে জাদুঘর ও লাইব্রেরি।

বিভিন্ন অফিসে শতকরা ৫০ ভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজে যোগ দেবেন।

তৃতীয় ধাপ: ১ আগস্ট থেকে
৪০ জনের কমসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি উন্মুক্ত করা হবে। জুমার নামাজ আদায় শুরু হবে ৫৪টি মসজিদে।

কম ঝুকিমুক্ত ফ্লাইট দোহায় আসার অনুমতি পাবে। প্রবাসীরা ফিরতে পারবেন।

ধীরে ধীরে অন্যান্য রেস্তোরাঁ ক্রেতাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

সেলুন, জিম, সুইমিং পুল, বিউটি পার্লার, ম্যাসেজ পার্লার খুলে দেওয়া হবে।

বিভিন্ন অফিসে শতকরা ৮০ ভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজে যোগ দেবেন।

বিভিন্ন নার্সারি চালু হবে।

ড্রাইভিং স্কুলগুলোতে কার্যক্রম শুরু হবে।

চতুর্থ ধাপ: ১ সেপ্টেম্বর থেকে
সব ধরণের জনসমাগম উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সব মসজিদ খুলে দেওয়া হবে। সব মসজিদে শুক্রবার জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্যিক মেলা ও অনুষ্ঠান শুরু হবে।

সিনেমা ও থিয়েটারসহ সব বিনোদন ব্যবস্থা শুরু হবে।

সব ধরণের আগমনী ফ্লাইট চালু হবে। যে কেউ যাতায়াত করতে পারবেন।

সব শপিং মল পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে। সব সুক ও পাইকারি বাজার পুরোপুরি চালু হবে।

সব জাদুঘর ও লাইব্রেরি পুরোপুরি চালু হবে।

সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজে যোগ দেবেন।

সব ধরণের খেলাধুলা শুরু হবে।